মালিকের গাফিলতির কারণেই ঢাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, তাই এ ঘটনায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণ মালিকপক্ষকেই দিতে হবে। এবং এই ক্ষতিপূরণ আদায়ে কাজ করবে সরকার। আর রাষ্ট্র দগ্ধদের চিকিৎসা দিচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধদের অবস্থা দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
দগ্ধদের সবার অবস্থাই খুব ক্রিটিক্যাল জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ''দু'য়েকজন ছাড়া সবারই ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। ইতোমধ্যে ঢামেকের বার্ন ইউনিট থেকে পাঁচ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। দরকার হলে আরও রোগী সেখানে স্থানান্তর করা হবে।’
নিজের জীবনে দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ ইনজুরির ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ ইনজুরির ঘটনা এটা। বদ্ধ ঘরের ভেতরে ছিল আগুনটা। যেহেতু প্লাস্টিকের কারখানা, মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ঘরের ভেতরে ছড়িয়ে পড়েছে।’
এর আগে, বুধবার বিকালে কেরানীগঞ্জের ওই প্লাস্টিক কারখানায় আগুনে ঘটনাস্থলেই এক জন নিহত হন। এ ছাড়া দ্বগ্ধ হন অন্তত ৪০ জন। এদের মধ্যে ২৮ জনকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব