পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌর এলাকা থেকে ডাক্তার পরিচয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে ৫ জন ভুয়া ডাক্তার এবং বাড়ির মালিককে আটক করেছে র্যাব-৮। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫ ভুয়া ডাক্তারকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও বাড়ির মালিককে অর্থদণ্ড এবং তাদের ৫টি ক্লিনিক ও চেম্বার সিলগালা করে দেন।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসিন খন্দকারের নেতৃত্বে এবং ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. এ.আইচ.এম. ফাহাদের সহায়তায় র্যাব-৮’র একটি বিশেষ দল সোমবার এ অভিযান পরিচালনা করে।
বিকেলে র্যাব-৮’র এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভান্ডারিয়া পৌর এলাকায় কয়েকজন ভুয়া ডাক্তার চিকিৎসার নামে স্থানীয় লোকজনের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে র্যাবের একটি বিশেষ দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে শামীম আকন, জনতা ডেন্টাল কেয়ারের মো. ফাইজুল হক রানা, মডার্ন ডেন্টাল কেয়ারের মো. বাবুল হোসেন, মহিউদ্দিন আহম্মেদ পলাশ, জসিম উদ্দিন শাহীন এবং শামীম আকনের ক্লিনিক ভবনের মালিক আব্দুল কাদের হাওলাদারকে আটক করে। আটককৃতরা র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সহজ সরল মানুষকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করার কথা স্বীকার করে। তারা চিকিৎসার স্বপক্ষে বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয় এবং ভ্রাম্যমান আদালতে তারা তাদের প্রতারনার কথা স্বীকার করে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক শামীম আকনকে দুই বছর, মো. ফাইজুল হক রানাকে ৬ মাস, মহিউদ্দিন আহম্মেদ পলাশকে ৬ মাস, জসিম উদ্দিন শাহীনকে ৪ মাস ও মো. বাবুল হোসেনকে ২ মাস এবং ভুয়া ডাক্তারদের বাসা ভাড়া দিয়ে সহযোগীতার দায়ে বাড়ির মালিক আব্দুল কাদের হাওলাদারকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। একই সাথে ৫ জন ভুয়া ডাক্তারের ৫টি চেম্বার ও ক্লিনিক সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার