সরকার সারাদেশে ধর্ষণের অসংখ্য নজির সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেরন আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনিত মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।
কুর্মিটোলায় ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম’ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইশরাক বলেন, এই সরকার ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পরেই নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধানের শীষে ভোট দেয়ার অপরাধে চার সন্তানের জননী গৃহবধুকে ধর্ষণের মাধ্যমে তাদের যাত্রা শুরু করে। এর পর সারাদেশেই একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কোনো বিচার করছে না। একই সাথে সারা দেশে ধর্ষণের অসংখ্য নজিরও সৃষ্টি করেছে এই সরকার। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বিধায় এই সরকারের কোনো জবাবদিহিতাও নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন তিনি।
ইশরাক হোসেন বলেন, একইসাথে নির্বাচনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে জোরদার করারও ঘোষণা দেন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে রাজধানীবাসী জনবান্ধন ও নগরবান্ধন মেয়র নির্বাচিত করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই নির্বাচিত হলে আগামীতে অনিরাপদ ঢাকাকে নিরাপদ শহরে পরিণত করার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন তিনি।
ইশরাক বলেন, নারী ও শিশুদের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ শহর হিসেবে ঢাকা শহরের নাম এক থেকে পাঁচ নম্বরের মধ্যে এসেছে। আর এটি হয়েছে একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণেই। তাই আগামীতে এই ঢাকা শহরকে একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলারও অঙ্গীকার করেন তিনি।
বৃহৎ একটি আন্দোলনের অংশ হিসেবেই সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি এমন তথ্য দিয়ে ইশরাক বলেন, আশা করি আগামী ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সংগ্রাম আরো ত্বরান্বিত হবে। আর নির্বাচনই হবে দেশে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের একটি পদক্ষেপ।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব