ঢাকা সিটি করপোরেশনের চেয়ে স্থানীয় একজন মেয়রের ক্ষমতা অনেক বেশি বলে মন্তব্য করেছেন নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। তিনি বলেন, স্থানীয় একজন মেয়র চাইলে রাস্তা পরিষ্কারের পাশাপাশি রাস্তার উন্নয়ন কাজ করতে পারেন, পানি দিতে পারেন। অথচ ঢাকাতে একটা ফ্লাইওভার করতেও চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজন হয়, এই মন্ত্রণালয় আবার নিজেদের কথা গোপন রাখে। তাহলে এখানে একজন নারী কাউন্সিলর কীভাবে কাজ পাবেন?
রবিবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও সুইডেন দূতাবাস আয়োজিত ‘নিরাপদ নারীবান্ধব ঢাকা মহানগরী গড়তে সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলরদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম সভাপতিত্ব করেন।
মতবিনিময় সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, একজন নারী কর্মক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় কম কাজ করে না। নারী পরিবারের সব কাজ শেষ করে কর্মক্ষেত্রের কাজ পরিপূর্ণ করে। এরপরও তাদের নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন দেওয়া হয় না। এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার। তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। পিছিয়ে পড়া নারীকে এগিয়ে নিতে হবে।
মোবাশ্বের হোসেন বলেন, মেয়রের ক্ষমতা প্রদর্শিত হলে উন্নয়নের পাশাপাশি নারী-পুরুষ কাউন্সিলরের মধ্যেও কোনো বৈষম্য থাকবে না, রাস্তায় যানজট থাকবে না, পার্কের পরিবর্তে ফুটপাত হবে হাঁটার উপযোগী।
মতবিনিময় সভায় মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, ঢাকা দক্ষিণ সিটির সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল প্রার্থী ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী নারগিস মাহতাব, নারী কাউন্সিলর প্রার্থী শামসুন্নাহার, শামসুন্নাহর ভূঁইয়া, শাহানা আক্তার মিতু, পারভিন খায়ের প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন