রাজশাহী মহানগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে সুমাইয়া নামের ১০ মাসের এক শিশুকে অতিরিক্ত টিকার ডোজ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে রাসিক স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে। মোবাইলে নারী স্বাস্থ্যকর্মীরা গল্প করছিলেন। গল্পের তালে অতিরিক্ত টিকার ডোজ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন শিশুটির পরিবারের সদস্যরা।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে চার স্বাস্থ্যকর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন। সাময়িক বরখাস্তরা হলেন- রাসিকের জনস্বাস্থ্য বিভাগের মাঠকর্মী জোসনা, শিল্পী, তহমিনা ও সুপারভাইজার আজাহার আলী।
কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বলেন, ‘রাসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. বনি ক্লিনিকে এসেছিলেন। তিনি আমাদের জানিয়েছেন অতিরিক্ত টিকা প্রদানে শিশুটির কোনো সমস্যা হবে না।’
স্থানীয়রা জানান, রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছোটবনগ্রাম এলাকার শেখ রাসেল শিশু পার্কের পাশে আরবান ক্লিনিকে টিকা দেওয়া হচ্ছিলো। আসাম কলোনীর সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে শিশু সুমাইয়াকে টিকা দিতে নিয়ে আসেন তার মা। সাদ্দাম হোসেন জানান, ‘আমার মেয়ে সুমাইয়াকে গতবছরের ২৩ জুন তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছিল। গত ১২ ডিসেম্বর চতুর্থ ডোজ দেওয়ার কথা ছিল। আমরা রাজশাহীতে না থাকার কারণে সেসময় টিকা দেওয়া হয়নি। আজ (রবিবার) শিশুটিকে নিয়ে টিকা দিতে যায় আমার স্ত্রী। সেখানে একটি টিকার পরিবর্তে ৪টি টিকা দেন তারা। অতিরিক্ত টিকা দেওয়ার কারণে আমার বাচ্চার জ্বর আসছে।’
টিকা প্রদানকারী সুপারভাইজার আজাহার আলী বলেন, ‘আমি কেন্দ্রে ছিলাম না। অন্য একটি কেন্দ্রে টিকা প্রদানের জন্য গিয়েছিলাম। এটি ভুলবশত এক স্বাস্থ্যকর্মী রেজিস্ট্রার খাতা ও ট্যাব না দেখে বাচ্চাটিকে টিকা প্রদান করেছেন।’
রাসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর
