নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন হাতি মার্কার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, সরকার দলীয় নেতাদের বিভেদ-বিভাজনই নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। শামীম ওসমান সরকার দলীয় এমপি আর সেলিম ওসমান সরকারী দলের জোটবদ্ধ জাতীয় পার্টির এমপি। আমি তৈমুর আলম খন্দকার প্রথম দিন থেকেই বলছি শামীম ওসমানের পায়ে তৈমুর আলম খন্দকার হাটে না। গত ৫০ বছর ধরে মাটি ও মানুষের সাথে রাজনীতি করতে করতে তৈমুর আলম খন্দকারের ভিত্তি এতটাই শক্ত অবস্থান হয়েছে যে, কোনো শামীম ওসমান বা সেলিম ওসমানের হয়ে আমাকে নির্বাচনের অভিনয়ে নামতে হবে না।
রবিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ফতুল্লা মাসদাইর নিজ বাসভবনের নীচ তলায় মজলুম মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিমিয় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 'আপনি (তৈমূর) দন্তহীন গডফাদার শামীম ওসমানের প্রার্থী' আইভীর এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
আইভী মসজিদ মন্দির দখল বা উচ্ছেদে কি প্রমাণ আছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তৈমূর বলেন, শত বছরের প্রাচীন শহরের দেওভোগ লক্ষী নারায়ণ মন্দিরের সম্পত্তি কি করে বিক্রি হতে পারে? এই অভিযোগ ও আশঙ্কা খোদ এই শহরের হাজার হাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে সরকারী দলের নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন। একই সাথে প্রায় সাড়ে ৫শ বছরের প্রাচীন মোঘলীয় মসজিদ তথা জিমখানা মসজিদের জায়গাও তিনি দখল করেছেন বলে ঐ মসজিদ কমিটি ও ওয়াকফ এস্টেটের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বহু নিরীক্ষন ও আইনী পর্যালোচনা করে দেখেছি, সেই মসজিদ ও ওয়াকফ এস্টেটের অভিযোগটি সম্পূর্ণ যৌক্তিক। কথা দিচ্ছি, এই প্রাচীন মসজিদ ও মন্দিরের দখল হয়ে যাওয়া জায়গা উদ্ধারেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল