নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ধর্মগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও দুই মরদেহ ভেসে উঠেছে। এর আগে আজ সকালে মা ও মেয়েসহ ৪ জনের মরদেহ ভেসে উঠেছিল।
রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো দুর্ঘটনাস্থলের কাছ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃতরা হলেন- ফতুল্লার চরমধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫) ও তার বড় মেয়ে তাসমিন আক্তার (২০), ফতুল্লার চর বক্তাবলীর রাজু সরদারের কলেজপড়ুয়া ছেলে সাব্বির আহমেদ (১৮), বক্তাবলীর হাজীপাড়ার আব্দুল জলিলের মেয়ে জোসনা বেগম (৩৩), ফতুল্লার উত্তর গোপাল নগরের রেকমত আলীর ছেলে আব্দুল মোতালেব (৪২), চর বক্তাবলীর মৃত আক্কাস আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন (৩০)।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন গণমাধ্যমকে জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ৬টি মরদেহ উদ্ধার করে সদর উপজেলা প্রশাসন তাদের পরিবারের কাছে হন্তান্তর করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সকালে ফতুল্লার বক্তাবলী সিপাইবাড়ি খেয়াঘাট থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ধলেশ্বরী নদীর মাঝখানে পৌঁছালে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এমভি ফারহান নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কা লাগলে ডুবে যায় ট্রলারটি। এসময় অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও একই পরিবারের চারজনসহ আরও ৬ যাত্রী নিখোঁজ হন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত