উৎসব মুখর পরিবেশে নববর্ষ উদযাপন করেছে ঢাকাস্থ চট্টগ্রামবাসী। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার তোপখানা রোডের ভবনে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দিনব্যাপী উৎসব ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির নিজস্ব মিলনায়তনে নবনির্বাচিত আহ্বায়ক সাবেক ছাত্র নেতা এম এ হাশেম রাজুর সভাপতিত্বে নবনির্বাচিত সদস্য সচিব সুপ্রীম কোর্টের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সাবেক ছাত্র নেতা এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খানের পরিচালনায় বাঙালি সংস্কৃতির মহাউৎসব পহেলা বৈশাখ, সকল ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষের মহামিলন।
এদিন সাজ সাজ রবে পুরো বাংলাদেশ ঢেকে যায় উৎসবের চাদরে। রমনার বটমূল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সঙ্গে যেন এই উৎসবের অন্য রকম তাৎপর্যপূর্ণ একটি সম্পর্ক রয়েছে আমাদের। বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকাস্থ চট্টগ্রামবাসীর উৎসব মুখর উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয় এবং পহেলা বৈশাখের ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে ঢাকাস্থ বৃহত্তর চট্টগ্রামের সর্বস্তরের নাগরিকদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালিত হয়।
বক্তারা বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে জুলাই আগস্টে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি হওয়ার মধ্য দিয়ে যেই নতুন বাংলাদেশ ছাত্র জনতা উপহার দিয়েছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মধ্যে এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের সু-শাসন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভার শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সমিতির আজীবন সদস্য প্রফেসর ড. মুসা খান, ড. নাসির উদ্দিন মিজান, প্রখ্যাত সাংবাদিক কাশেম মাহমুদ খোকন, আরিফ, এস এম ফরিদ, মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন, সাবেক ছাত্র নেতা মমিনুল ইসলাম চৌধুরী, এড. নাজিম উদ্দিন, আব্দুর রহমান রাসেল, জাকারিয়া, সাবেক ছাত্র নেতা সাফায়াত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নেতা রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের প্রতি ১ মিনিট নিরবতা ও তাদের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহর নিকট দোয়া প্রার্থনা করা হয়।