সাংগঠনিক কোন্দল নিরসন না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, সরকারবিরোধী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। তাই নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব বাদ দিয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। কোন্দলের কারণে পঞ্চগড় ও সৈয়দপুর জেলার সাংগঠনিক কমিটি ভেঙে দেন তিনি। দল পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে গতকাল রাতে গুলশানে চেয়ারপারসন কার্যালয়ে পঞ্চগড়, নীলফামারী ও সাংগঠনিক জেলা সৈয়দপুরের নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন তিনি। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা বেগম জিয়ার সঙ্গে বসেন।
সামনে জেলা কমিটি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতা ছাড়াও পৌর, উপজেলায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানরা বসেন।
পঞ্চগড়ের জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে এ হাসানের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তাদের ৪৫ দিনের মধ্যে সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলা হয়। একইভাবে আবদুল গফুরকে আহ্বায়ক করে ২২ সদস্যের কমিটি দেওয়া হয় সৈয়দপুরে। এক মাসের মধ্যে তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলা হয়। তবে নীলফামারী জেলা কমিটির মেয়াদ দেড় মাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়।