ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের নৈরাজ্য বন্ধ, ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে বিদ্যমান সকল প্রকার বৈষম্যের অবসান এবং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্রে বিএসসি প্রকৌশলীদের নায্য অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। সমাবেশে শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বিবৃতি পাঠ করা হয়। এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের নামে যেভাবে সারা দেশে রেল ও সড়কপথ অবরোধ করে জনদুর্ভোগ, নৈরাজ্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো হচ্ছে, আমরা বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের বেশির ভাগ দাবিই বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ডিপ্লোমা-বিএসসির বাইরে, অন্যান্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরাও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সরকারি চাকরির ১২-১৪ গ্রেডের চাকরিতে যেখানে অনার্স-মাস্টার্স যোগ্যতা চাওয়া হয়, সেখানে ডিপ্লোমারা অনার্সের লেভেলের চেয়েও কম শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সরাসরি ১০ম গ্রেডে চাকরি করছে। সেখান থেকে অনেকে প্রমোশন নিচ্ছেন। এটাও অন্যান্য বিভাগের অনার্স শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চরম বৈষম্য।
এ সময় তারা তিনটি দাবি উপস্থান করেন। দাবিগুলো হলো- ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে অর্থাৎ, ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীকেই পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না, এই মর্মে আইন পাস করে তার বাস্তবায়ন করতে হবে।