সরকার দুই দফায় টিএনজেড গ্রুপকে টাকা দিয়েছে। তবুও কোম্পানিটি কারখানার শ্রমিকদের বেতন বকেয়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তাই টিএনজেডের চারটি কারখানাই বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান। গতকাল সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আরএমজি বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (আরএমজি-টিসিসি) ২০তম সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রম সচিব বলেন, দুই দফায় টিএনজেডকে টাকা দিয়েছে সরকার। কিন্তু কোম্পানিটির চারটি কারখানার শ্রমিকদের বেতন বকেয়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। এ কোম্পানি আর চালানো যাচ্ছে না। নভেম্বরে ১৬ কোটি টাকা দিয়েছি, এখন আবার ১৭ কোটি টাকা বকেয়া হয়েছে। আবার কোরবানিতে ১৫ কোটি টাকা বকেয়া হবে, এটা তো হতে পারে না। সিদ্ধান্ত হয়েছে টিএনজেডের চারটি কারখানাই বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসব কারখানার শ্রমিক সংখ্যা ৩২০০ জন।
টিএনজেডের ক্ষেত্রে বেক্সিমকো মডেল প্রয়োগ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে ৪০ হাজার শ্রমিকের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের বকেয়া যেভাবে মালিক পরিশোধ করেছে, টিএনজেডের বকেয়াও মালিক পরিশোধ করবে। তাকে দেশে ফিরতে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে।