খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়। ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ২৬ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর রমজান ও ঈদের ছুটি মিলিয়ে ৫০ দিন ধরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এদিকে নিরাপদ ক্যাম্পাস ও শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবিতে ১৩ এপ্রিল বন্ধ কুয়েটে শিক্ষার্থীরা ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের পরিচালিত ‘কুয়েট-১৯ ব্যাচ’ নামে ফেসবুক পেজ থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, কুয়েটের হল কমিটি, সব ডিপার্টমেন্টের ভিপি-সিআর ও সেন্ট্রাল সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৩ এপ্রিল নিরাপদ ক্যাম্পাসের প্রত্যাশায় কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রত্যাগমন করব এবং সবাই একসঙ্গে হলে উঠব। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের নিজ জেলা অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংঘবদ্ধভাবে ক্যাম্পাসে আসার আহ্বান জানানো হয়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ঘোষণার পর সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে গত মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ। তিনি বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি অপ্রীতিকর ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি ১৩-১৪ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলেছেন। এরপর তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। সিন্ডিকেটের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে ১৫ এপ্রিল শুধু দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান।