গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। যার কারণে প্রতিদিনই ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগীর সিংহভাগ চিকিৎসা নেয় বরিশাল সদর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে। একটি ওয়ার্ডে শিশু-নারী ও পুরুষদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। যার কারণে শয্যা সংখ্যার দ্বিগুণ রোগীর ঠাঁই হয় ফ্লোরে। গাদাগাদি করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে তাদের। বরিশাল সদর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে একমাত্র এ হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। সরকারিভাবে ৪ বেডের বরাদ্দ রয়েছে। রোগী চাপের কারণে আরও ৮টি বেড বাড়ানো হয়েছে। মোট ১২টি বেড থাকলেও প্রতিদিন গড়ে ৩০-৩৫ জন রোগী এখানে ভর্তি হয়। গরমের সময় একটু রোগী বেশি থাকে। বৃষ্টি পড়লে রোগী কম হয়। গতকাল রোগী ভর্তি ছিল ২৯ জন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে একটি টিনশেড ঘরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওয়ার্ডের বাইরে, এমনকি খোলা আকাশের নিচে রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, জানুয়ারি মাসে ৩৮০ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৯০ জন ও মার্চ মাসে তা ৫৩৬ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে এ ওয়ার্ডের জন্য এখন আইপিএস ও ফ্যান জরুরি। এ ছাড়াও ইলেকট্রোলাইট মেশিনটি প্রয়োজন রয়েছে। ইলেট্রোলাইট পরীক্ষার জন্য রোগীদের বাইরে পাঠাতে হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবিকারা নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন।
রাতের বেলায় চিকিৎসা দিতে চান না চিকিৎসক ও সেবিকারা। কারণ হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর নেই। হাসপাতাল অভ্যন্তরে বিশেষ করে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সামনে মাদকসেবী, বখাটে, চোর ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য রয়েছে। এ কারণে চিকিৎসক ও সেবিকারা রাতে চিকিৎসা সেবা দিতে চান না।
এ বিষয়ে বরিশাল সদর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, হাসপাতালটি এক সময়ে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আওতায় ছিল। তখন থেকে এ হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে সিভিল সার্জনের অধীনে গেলেও এখনো ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা এখানে হচ্ছে।