বৈশাখী মেলা নিয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে কারুশিল্পীদের। দিনরাত সমানতালে চলছে মেলার বিভিন্ন পণ্য তৈরির কাজ। পবা উপজেলার নওহাটার বসন্তপুরের পালপাড়ার কারুশিল্পীরা বৈশাখী মেলাকে ঘিরে মাটি দিয়ে তৈরি করেছেন নানান জিনিসপত্র। পালপাড়ায় তৈরি হওয়া এসব শখের হাঁড়ি, টেপা পুতুল, মুখোশসহ হাতি, ঘোড়া মাতাবে এবারের বৈশাখী মেলা। জানা গেছে, পবার বসন্তপুরের পালপাড়ায় প্রতিটি পরিবার মাটির তৈরি নানান জিনিসপত্র তৈরি করে। এসব জিনিসপত্র বিক্রি করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তাদের তৈরি করা পণ্যের বেশির ভাগই গৃহস্থালি ও সাংসারিক সাজসজ্জার পণ্য। তবে ব্যতিক্রম কিছু পণ্য তৈরি করে পালপাড়ার কয়েকটি পরিবার। তারা মূলত দেশের বিভিন্ন মেলাকে টার্গেট করে মাটি দিয়ে হাঁড়ি, পুতুল, মুখোশ, ঘোড়া, কচ্ছপ, ছোট-বড় পুতুল, মাছ, সিংহ, হাতি, কবুতর, পেঁচা, বাঘ তৈরি করে। এ পণ্যগুলো বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করে তারা।
বসন্তপুরের কারুশিল্পী বিজলী রানী পাল এবং তার ছেলে সজীব পাল বেশ কিছু টেপা পুতুল রঙের বালতিতে ডুবিয়ে তুলে অন্য জায়গায় রাখছেন। রঙে ডোবানোর কারণে পুরো পুতুলে রং হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া পাশে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে পুতুল ছাড়াও মাটির তৈরি অন্যান্য পণ্য। গ্রামের শিশুরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে পুতুলগুলো। আর সড়কের অপর পাশে বসে নিজেকে জিরিয়ে নিচ্ছেন মৃতশিল্পী সুবোধ কুমার পাল।
সুবোধ কুমার পাল বলেন, ‘এখানে শুধু টেপা পুতুলই নয়, আছে- ঘোড়া, কচ্ছপ, ছোট-বড় পুতুল, মাছ, সিংহ, হাতি, কবুতর, পেঁচা, বাঘ ইত্যাদি। টেপা পুতুলগুলোর মধ্যে ভিন্নতা আছে। কিছু ঐতিহাসিক কাহিনির মধ্যে চম্পাবতী, ইশা খাঁ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের বীরপুরুষ অবলম্বনে ঘোড়ায় চড়ে যাওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে টেপা পুতুলের মধ্যে।’