জীবন বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজনের চেয়ে বড় আর কীই-বা হতে পারে! এই চেতনা থেকেই মানুষে মানুষে রক্তের বন্ধন আরও দৃঢ় করতে, রক্তদান আর রক্ত অনুসন্ধান সহজ করতে আত্মপ্রকাশ করেছে ব্লাডফ্রেন্ড নামের অনলাইনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ সাইট।
বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন স্টার্টআপ বাংলাদেশ আইডিয়া প্রোজেক্টের প্রথম ব্যাচ এর অনুদান প্রাপ্ত একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ব্লাডফ্রেন্ড।
বাংলাদেশে বছরে প্রায় আট লক্ষ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। বিপুল এই রক্তের চাহিদা পূরণ সব সময় সম্ভব হয় না। বর্তমানে বাংলাদেশে শতকরা ৩০ ভাগ স্বেচ্ছাসেবক রক্তদানে এগিয়ে আসে। ব্লাডফ্রেন্ডের মাধ্যমে এটিকে ১০০ ভাগে উন্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সময়মতো নির্ধারিত গ্রুপের রক্ত খুঁজে পেতে এবং রক্তদাতা ও রক্তগ্রহীতার মধ্যে যোগাযোগ সহজ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে ‘ব্লাডফ্রেন্ড’ নামের এই অনলাইনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ সাইট। এই প্লাটফর্মে অনেকটা ফেসবুকের মতোই ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ পাঠানো যাবে। রক্তের প্রয়োজনে পাঠানো যাবে ‘ব্লাড রিকোয়েস্ট’এবং সেটি টেস্কট আকারে মোবাইলে চলে যাবে ।
থাকবে ‘স্ট্যাটাস শেয়ারিং’, ছবি পোস্টের ব্যবস্থা এবং মেসেজ আদান-প্রদানের সুযোগ। তৈরি করে নেওয়া যাবে রক্তবন্ধুদের নিজস্ব ‘সার্কেল’। এখানকার সদস্যদের খুঁজে পাওয়া যাবে যাঁর যাঁর অবস্থান অনুযায়ী ‘রেডি টু ডোনেট’, ‘ডোনেটেড’’নট আপ্লিকেবল’ ইত্যাদি ভাগে।
এই সামাজিক যোগাযোগ সাইটটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এতে রক্তদাতাদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করতে ‘সার্কল’ভিত্তিক নেটওয়ার্কিংয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। নাম, ই-মেইল ও রক্তের গ্রুপ লিখে সহজেই সদস্য হওয়া যাবে এখানে। সাধারণ সদস্য হওয়ার পর যে কেউ নিজেকে একটা সার্কেলের সদস্য করতে পারেন বা নিজের উদ্যোগে সার্কেল গড়ে তুলতে পারেন। এতে স্থানীয়ভাবে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সার্কেল ওপর নির্ভর করে রক্তাদাতাদের পারস্পরিক যোগাযোগ সহজ হবে।
সদস্য হতে এবং এ-সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গুগোল প্লে স্টোর থেকে ব্লাডফ্রেন্ডের অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.bolonline.bloodfriend
বিডি প্রতিদিন/হিমেল