শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী

কর্নেল আব্দুল্লাহ মোর্শেদ, পিএসসি
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী

জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী (এম এ জি ওসমানী) ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এবং ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ী একজন সেনানায়ক। জেনারেল এম এ জি ওসমানী শুধু মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কই ছিলেন না, বরং একাধারে তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা, দূরদর্শী একজন সামরিক কমান্ডার, বিচক্ষণ ও কৌশলী একজন বুদ্ধিজীবী, মুক্তচিন্তার ধারক একজন প্রশাসক এবং নীতি ও নৈতিকতায় অনুসরণীয় একজন ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদান এবং দুঃসাহসিক নেতৃত্বের জন্য তিনি বঙ্গবীর নামে পরিচিত। জেনারেল ওসমানী বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র- যাঁর নেতৃত্ব, সাহস এবং সততার দৃষ্টান্ত তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

শৈশব ও কৈশোর : জেনারেল ওসমানী ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার পাথারিয়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি সিলেট জেলার বালাগঞ্জের (বর্তমানে ওসমানীনগর উপজেলা) দয়ামীরে। তাঁর বাবা খান বাহাদুর মফিজুর রহমান ছিলেন তৎকালীন আসামের সুনামগঞ্জ সদর মহকুমায় সাব-ডিভিশনাল অফিসার। মা জোবেদা খাতুন ছিলেন একজন গৃহিণী। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছেলে ওসমানী। পাথারিয়া গ্রামের ওসমানী পরিবার তাঁদের পরিচিত মহলে শিক্ষানুরাগী ও ধার্মিক পরিবার হিসেবে পরিচিত ছিল। খান বাহাদুর মফিজুর রহমান এবং জোবেদা খাতুন জেনারেল ওসমানীকে ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক মূল্যবোধ ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছিলেন। শিক্ষানুরাগী পরিবারের ঐতিহ্যগত সজ্জন পরিবেশ জেনারেল ওসমানীর শৈশব গঠনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল। শৈশবকাল থেকে পিতামাতার দীক্ষা ও অনুপ্রেরণা তাঁকে একজন সুশিক্ষিত, দৃঢ়চেতা এবং আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্র তৈরি করেছিল। পরিবারের এই নৈতিক শিক্ষা ওসমানীকে ভবিষ্যতে একজন মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি যুদ্ধজয়ী এই সামরিক ব্যক্তিত্বের সব অর্জনে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেছিল।

শিক্ষাজীবন : পিতা খান বাহাদুর মফিজুর রহমানের কর্মস্থানে বদলি চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কেটেছে তাঁর শৈশব-কৈশোর। ১৯২৩ সালে কটনস স্কুল অব আসাম-এ ভর্তি হওয়ার মধ্য দিয়েই ওসমানীর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী এবং জ্ঞানার্জনে আগ্রহী। শিশু ওসমানী প্রতি ক্লাসেই পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করতেন। তিনি ১৯৩২ সালে সিলেট সরকারি পাইলট হাই স্কুলে ভর্তি হন। তৎকালীন সময়ে সিলেটের এ স্কুলটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হতো। ১৯৩৪ সালে এ স্কুল থেকেই অসাধারণ কৃতিত্বের সঙ্গে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। সমগ্র ব্রিটিশ ভারতের এন্ট্রান্স পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান লাভ করেছিলেন। এ অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ সরকার এম এ জি ওসমানীকে প্রিওটোরিয়া পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। যা ছিল তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে ইতিহাস, রাজনীতি এবং সাহিত্যবিষয়ক পাঠ্যক্রমে তিনি সীমাহীন আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। একাডেমিক দক্ষতা এবং উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা জেনারেল ওসমানীর সহপাঠীদের মধ্যে তাঁকে অমিত প্রতিভাবান একজন শিক্ষার্থী হিসেবে তুলে ধরে ছিল। ১৯৩৮ সালে তিনি আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

সামরিক প্রশিক্ষণকালীন জীবনী : জেনারেল এম এ জি ওসমানীর সামরিক একাডেমির জীবন ছিল শৃঙ্খলা, কঠোর পরিশ্রম এবং সামরিক দক্ষতা অর্জনের এক বীরোচিত অধ্যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পূর্বে, ১৯৩৯ সালের ৩ জুলাই তিনি দেরাদুনে ব্রিটিশ-ভারতীয় মিলিটারি একাডেমিতে (আইএমএ) অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। তৎকালীন ব্রিটিশ কলোনিতে এটিই ছিল উপমহাদেশের বৃহত্তম সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এখানেই সেনা অফিসার হয়ে ওঠার দুর্নিবার আগ্রহে ওসমানী তাঁর সামরিক জীবনের পথচলা শুরু করেন। আইএমএতে প্রশিক্ষণকালীন ওসমানী কঠোর শারীরিক প্রশিক্ষণ, সামরিক কৌশলগত চিন্তাধারা এবং শৃঙ্খলা রপ্ত করেন। তাঁর অধ্যবসায় এবং বুদ্ধিমত্তা তাঁকে অন্য প্রশিক্ষণার্থীদের থেকে আলাদা করে তোলে। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে তিনি যুদ্ধকৌশল, অস্ত্র চালনা এবং নেতৃত্বের কৌশলের মতো বিষয়গুলোতে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন। শারীরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন রণকৌশল অনুশীলন ও অ্যাসাইনমেন্টে বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা এবং মানসিক দৃঢ়তা প্রদর্শন করেন। প্রশিক্ষণ চলাকালীন তাঁর সাহসিকতা, তীক্ষè মনোযোগ এবং অধ্যবসায় তাঁকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে তাঁর সতীর্থদের কাছে একজন আদর্শ সামরিক প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে পরিচিত করায়। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৪০ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন এবং ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে একজন লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দেন।

প্রশিক্ষণ-পরবর্তী সামরিক জীবন : ১৯৪১ সালে এম এ জি ওসমানী লেফটেন্যান্ট থেকে ক্যাপ্টেন পদবিতে পদোন্নতি পান। এ সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, যা এই উপমহাদেশেও বিস্তৃত হয়েছিল। এই যুদ্ধে তিনি বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সার্ভিস কোরের একটি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) সেক্টরে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সাহসিকতা এবং নেতৃত্বের গুণ তাঁকে সেনাবাহিনীতে দ্রুত মেজর পদে পদোন্নতি এনে দেয়। তিনি সেই সময় শুধু পেশাগত দক্ষতায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে সবচেয়ে কম বয়সে এ পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ওসমানী ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে পদোন্নতিসংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন, পদোন্নতিসংক্রান্ত এক মৌখিক পরীক্ষায় তাঁকে তাঁর উচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বুদ্ধিদীপ্ত উত্তরে বলেছিলেন, আমি নেপোলিয়নের চেয়ে উচ্চতায় লম্বা যা তাঁর অটুট আত্মবিশ্বাসকে প্রতিধ্বনিত করেছিল। একই বছর তিনি মেধার ভিত্তিতে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের জন্য মনোনীত হলেও সামরিক বাহিনীতেই নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালের ৭ অক্টোবর ওসমানী পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন। ১৯৪৯ সালে তিনি পাকিস্তান আর্মির চিফ অব জেনারেল স্টাফের ডেপুটি হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৫১ সালে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নিযুক্ত হওয়ার ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক স্টেশনের দায়িত্বও তিনি সফলতার সঙ্গে পালন করেন। পরবর্তীকালে তিনি ১৪তম পাঞ্জাব রেজিমেন্টের নবম ব্যাটালিয়নের রাইফেলস কোম্পানির পরিচালক, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের অতিরিক্ত কমান্ড্যান্ট হিসেবেও কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি কর্নেল পদমর্যাদা লাভ করে সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অ্যান্ড মিলিটারি অপারেশনের উপপরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে কর্নেল ওসমানী ডেপুটি ডাইরেক্টর অব মিলিটারি অপারেশন হিসেবে যুদ্ধরত বিভিন্ন ফোর্সের সামরিক হেড কোয়ার্টারে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। পাক-ভারত যুদ্ধে সফলতার পর, ১৯৬৬ সালের মে মাসে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসরকালীন ছুটি নিয়ে পরের বছর ১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক : জেনারেল এম এ জি ওসমানী পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর তাঁর মনোযোগ এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকরা পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জনগণকে বছরের পর বছর ধরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অমানবিক শোষণ আর নিপীড়ন করে আসছিল তিনি প্রকাশ্যেই তাঁর ক্ষোভ ও নির্যাতনের প্রতিবাদ করেন এবং মাতৃভূমির জন্য কিছু করার ইচ্ছা পোষণ করে আসছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালি জনগণের ওপর অপারেশন সার্চলাইট নামে ঢাকা এবং অন্যান্য জায়গায় বর্বর হামলা চালায়। এ নির্বিচার হামলা ও হত্যা এবং দশকের পর দশক ধরে হয়ে আসা নিপীড়নের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ও বাঙালি সেনাসদস্যরা প্রতিশোধ নিতে ফুঁসে ওঠেন এবং সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করেন। এ সশস্ত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ও দেশকে মুক্ত করার জন্য একজন দূরদর্শী এবং কৌশলী সামরিক নেতার প্রয়োজন দেখা দেয়। পরিস্থিতি আর সময়ের বাস্তবতায়, তৎকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য কর্নেল (পরবর্তী সময়ে জেনারেল) ওসমানীর সামরিক অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা, নেতৃত্বগুণ এবং দেশপ্রেমের ওপর ভিত্তি করে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেয়।

মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে তাঁর সামরিক জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে রণ পরিকল্পনা করেন। জেনারেল ওসমানী উপলব্ধি করেছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের শুরুতেই মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। কারণ তাদের ভারী অস্ত্র, প্রশিক্ষিত সৈনিক এবং সামরিক সক্ষমতা ছিল অনেক বেশি। তাই তিনি গেরিলা কৌশলের ওপর জোর দেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক প্রাথমিক অবস্থায় বাংলাদেশকে ছয়টি সামরিক অঞ্চলে পরবর্তী সময়ে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে প্রতিটি সেক্টরে গেরিলা যুদ্ধকৌশল প্রণয়ন করেন। সর্বশেষ তিনি তিনটি ব্রিগেড গঠন করে তাদের স্বতন্ত্র ফোর্স (জেড ফোর্স, কে ফোর্স, এস ফোর্স) হিসেবে নিয়োগ দিয়ে সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধকে সর্বাত্মক সশস্ত্র আন্দোলনে রূপ দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে দেশকে হানাদার মুক্ত করার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে নিজেকে যুদ্ধজয়ী একজন বীর সেনানী হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। প্রচলিত যুদ্ধ পদ্ধতির বাইরে গিয়ে গেরিলাপদ্ধতিতে যুদ্ধের জন্য সাধারণ জনগণকে একত্র করা, প্রশিক্ষণ দেওয়া, ছোট ছোট উপদলে যুদ্ধ ক্ষেত্রে পাঠানো থেকে শুরু করে গেরিলাযুদ্ধের সামগ্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে জেনারেল ওসমানী যুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কাঠামো তৈরি ও হানাদার পাকিস্তানি সৈনিকদের অবস্থান এবং রণপরিকল্পনা সম্পূর্ণ ভেস্তে দিয়েছিলেন। গেরিলা আক্রমণে এবং মিত্রশক্তির সহযোগিতায় নভেম্বর ১৯৭১ এর শুরুতেই সীমান্তবর্তী এলাকা শত্রুমুক্ত হতে শুরু করলে পাক হানাদার বাহিনীর মনোবল সম্পূর্ণ ভেঙে যায়, এ সময় জেনারেল ওসমানীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিবাহিনী দেশব্যাপী আক্রমণ আরও জোরদার করে। প্রতিটি সেক্টরে পাক হানাদার বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় মূলত জেনারেল ওসমানীর মতো একজন অমিত সাহসী ও দূরদর্শী বীর মুক্তিযোদ্ধার সাধারণ থেকে অসাধারণ সেনানায়ক হয়ে ওঠার বিরোচিত এক ইতিহাস।

ব্যক্তিত্ব এবং শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ : জেনারেল এম এ জি ওসমানী তাঁর প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও অসীম সাহসিকতার জন্য সামরিক বাহিনীতে অত্যন্ত দূরদর্শী অফিসার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে তিনি নেতৃত্বের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গৌরবের এক ইতিহাস রচনা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার এই সামরিক নেতার নেতৃত্বের নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ ইতিহাসে অমর হয়ে আছে : জেনারেল ওসমানী ছিলেন একজন কৌশলী এবং দূরদর্শী সামরিক নেতা। তিনি অধীনস্থ সৈন্যদের তাঁর অনুপ্রেরণাদায়ী কথা আর কাজের মাধ্যমে উদ্দীপ্ত করে ঐক্য ও আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করতে পারতেন। অধস্তন অফিসার ও সৈনিকরা জেনারেল ওসমানীকে অসমসাহসী একজন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে দেখেছেন, যিনি কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে মোটেও বিলম্ব করতেন না। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর কৌশল ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুকে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি আক্রমণাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলা। তাঁর নির্দেশনায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল যুদ্ধ পরিচালনা করে পাক হানাদারদের পর্যুদস্ত করে এ দেশের ইতিহাস নতুন করে লিখতে বাধ্য করে।

কৌশলগত দক্ষতা : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল ওসমানী কৌশলী সামরিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, গেরিলা যুদ্ধকৌশল প্রণয়ন করে তা কার্যকরীভাবে প্রয়োগ করে তার কৌশলগত দক্ষতার পরিচয় রেখেছেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ভারী অস্ত্রশস্ত্র, প্রশিক্ষিত সৈনিক এবং সামরিক সক্ষমতা সম্বন্ধে সঠিক ধারণা তিনি রাখতেন বলেই গেরিলা কৌশলের ওপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে পরিস্থিতি অসহনীয় হতে দেননি, বরং তারা যেন সশস্ত্র সংগ্রামের উদ্দেশ্য থেকে কোনোভাবেই বিচ্যুত না হয়, তা নিশ্চিত করেছিলেন।

দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ : তিনি তাঁর জীবনের সেরা সময়গুলো দেশের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মর্যাদাপূর্ণ পদে থেকে অবসর নেওয়ার পরও দেশমাতৃকার টানে দেশকে ভালোবেসে জীবনের মায়াকে তুচ্ছ জ্ঞান করে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ শুধু পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছিল না; বরং একটি স্বাধীন জাতির জন্য আত্মত্যাগের সংগ্রামও ছিল। জেনারেল ওসমানীর দেশপ্রেম এ দেশের ইতিহাসে সব দেশপ্রেমীর জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।

পরিকল্পনা ও সমন্বয় ক্ষমতা : তিনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন করে সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে মিত্রবাহিনীর সঙ্গে মিলে যুদ্ধ পরিকল্পনা করা তাঁর অন্যতম সাফল্য ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন, এ দেশের স্বাধীনতা অর্জনের কঠিন পথ পাড়ি দিতে হলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্পৃক্ততার কোনো বিকল্প নেই, সেজন্য তিনি প্রতিটি সেক্টরের কমান্ডারদের সঙ্গে এবং মাঠপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখতেন এবং যুদ্ধের প্রতিটি পর্যায়ে সমন্বয় সাধন করতেন। তাঁর কৌশলগত নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা এবং বুদ্ধিমত্তা মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি স্তরে সফলতার ভিত্তি তৈরি করে।

জেনারেল ওসমানী ছিলেন অসমসাহসী এক যোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সব প্রতিকূল অবস্থায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে বলিষ্ঠ সেনানায়কের ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছেন এবং নিজের সাহসিকতা ও দৃঢ় সংকল্প দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। প্রতিকূল সব পরিস্থিতি তিনি সামলেছেন অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় আর গোছানো পরিকল্পনায়। রণাঙ্গনে তাঁর সাহসী ও বুদ্ধিদীপ্ত পরিচালনা, অধস্তন কমান্ডারদের পাশে থেকে যুদ্ধের সংকটময় সময়ে তাদের মনোবল অটুট রাখতে তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি সাহস জুগিয়েছেন, তাদের ত্যাগ আর তিতিক্ষাকে মূল্যায়ন করেছেন ইতিবাচক চিন্তাচেতনা আর বিশ্বাসে।

১৯৮৩ সালে বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানীর কিছু শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে পরীক্ষানিরীক্ষায় ক্যান্সার ধরা পড়ে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিয়ে সেন্ট বার্থলোমিজ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসার শুরুর দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ধীরে ধীরে তিনি শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েন। বাংলাদেশের এই বীর সেনাপতির সেখান থেকে আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ৬৬ বছর বয়সে জেনারেল এম এ জি ওসমানী লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। জেনারেল এম এ জি ওসমানীর জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশিদের কাছে একজন সাহসী দেশপ্রেমিক বীরের উপাখ্যান। দেশের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, নেতৃত্বের সঠিক প্রয়োগ, সংকল্পের দৃঢ়তা, জীবন ও কর্ম জাতির বৃহত্তর পরিষেবায় নিবেদন করে এ দেশের ইতিহাসকে বদলে দেওয়া চরিত্রটি এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর। এ দেশের মানুষ ভালোবেসে তাঁকে বঙ্গবীর উপাধি দিয়েছেন।

লেখক : অধিনায়ক, আর্মি মিলিটারি পুলিশ ইউনিট, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট

এই বিভাগের আরও খবর
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
বাজারে অস্বস্তি
বাজারে অস্বস্তি
সাগরে জাগছে চর
সাগরে জাগছে চর
ব্যবসাবাণিজ্য সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা
ব্যবসাবাণিজ্য সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
বাংলাদেশে গণতন্ত্র মানেই ফ্যাসিবাদের ফাঁদ
বাংলাদেশে গণতন্ত্র মানেই ফ্যাসিবাদের ফাঁদ
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক
সংস্কারে গতি আসুক
সংস্কারে গতি আসুক
মাত্রা ছাড়াচ্ছে নদীদূষণ
মাত্রা ছাড়াচ্ছে নদীদূষণ
নতুন বছরের প্রত্যাশা
নতুন বছরের প্রত্যাশা
রাসায়নিক ব্যবহারে চুলের ক্ষতি
রাসায়নিক ব্যবহারে চুলের ক্ষতি
নতুন দিনের কৃষি
নতুন দিনের কৃষি
সর্বশেষ খবর
ঐশ্বরিয়ার কথাতেই থেমে যায় অভিষেকের রাগ
ঐশ্বরিয়ার কথাতেই থেমে যায় অভিষেকের রাগ

৪৯ সেকেন্ড আগে | শোবিজ

তাঁদের স্বপ্নের বাস্তবায়নে পাশে আছে বসুন্ধরা গ্রুপ
তাঁদের স্বপ্নের বাস্তবায়নে পাশে আছে বসুন্ধরা গ্রুপ

১ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বিএনপি আন্তরিকতার সঙ্গে সংস্কার কমিশনকে সহযোগিতা করছে : সালাহউদ্দিন
বিএনপি আন্তরিকতার সঙ্গে সংস্কার কমিশনকে সহযোগিতা করছে : সালাহউদ্দিন

২ মিনিট আগে | রাজনীতি

চকবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্লাস্টিক কারখানার কর্মীর মৃত্যু
চকবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্লাস্টিক কারখানার কর্মীর মৃত্যু

৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

৭০তম জন্মদিনে মহাকাশ থেকে ফিরলেন আমেরিকার প্রবীণতম নভোচারী
৭০তম জন্মদিনে মহাকাশ থেকে ফিরলেন আমেরিকার প্রবীণতম নভোচারী

১০ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ ‘স্নো হোয়াইট’
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ ‘স্নো হোয়াইট’

১৩ মিনিট আগে | শোবিজ

‘বাবার মুখ পুড়িয়ে দিয়েছো’, প্রথম ছবির পর পরিবারের ক্ষোভ
‘বাবার মুখ পুড়িয়ে দিয়েছো’, প্রথম ছবির পর পরিবারের ক্ষোভ

১৬ মিনিট আগে | শোবিজ

এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষর
এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষর

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা দিল অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস-সুপ্রিম কোর্ট বার
নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা দিল অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস-সুপ্রিম কোর্ট বার

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জন ট্রাইব্যুনালে
আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জন ট্রাইব্যুনালে

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

নেপাল-বাংলাদেশ কাবাডি টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন
নেপাল-বাংলাদেশ কাবাডি টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন

৩৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকাসহ ১১ জেলায় সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
ঢাকাসহ ১১ জেলায় সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রতারণা, কনের বদলে বিধবা মাকে বিয়ে!
প্রতারণা, কনের বদলে বিধবা মাকে বিয়ে!

৪৬ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে : আইন উপদেষ্টা

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে যা জানাল ইরান
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে যা জানাল ইরান

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লিতে ভবনধসের ঘটনায় নিহত বেড়ে ১১
দিল্লিতে ভবনধসের ঘটনায় নিহত বেড়ে ১১

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘কেশরী চ্যাপ্টার টু’ দিয়েই কি অক্ষয়ের কামব্যাক?
‘কেশরী চ্যাপ্টার টু’ দিয়েই কি অক্ষয়ের কামব্যাক?

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

২০০ মিয়ানমার নাগরিক পালিয়ে থাইল্যান্ডে এসেছে, দাবি থাই কর্তৃপক্ষের
২০০ মিয়ানমার নাগরিক পালিয়ে থাইল্যান্ডে এসেছে, দাবি থাই কর্তৃপক্ষের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হবিগঞ্জে দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জে দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রহস্যময় 'পিরামিড' আবিষ্কার, বদলে দিতে পারে ইতিহাসকে
রহস্যময় 'পিরামিড' আবিষ্কার, বদলে দিতে পারে ইতিহাসকে

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

দিনাজপুরে ভবেশের মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের দেয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করলো বাংলাদেশ
দিনাজপুরে ভবেশের মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের দেয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করলো বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাইজেরিয়ায় সন্দেহভাজন পশুপালকদের হামলায় নিহত ১৭
নাইজেরিয়ায় সন্দেহভাজন পশুপালকদের হামলায় নিহত ১৭

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'বেবি এবি'খ্যাত ব্রেভিসকে দলে নিয়েছে চেন্নাই
'বেবি এবি'খ্যাত ব্রেভিসকে দলে নিয়েছে চেন্নাই

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে পালিয়েছে প্রায় ২০০ মিয়ানমার নাগরিক
থাইল্যান্ডে পালিয়েছে প্রায় ২০০ মিয়ানমার নাগরিক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রেকর্ড দর্শকের সামনে গোলহীন মেসি, তবুও জয় মায়ামির
রেকর্ড দর্শকের সামনে গোলহীন মেসি, তবুও জয় মায়ামির

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে আমেরিকা
ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে আমেরিকা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হেইডেনহাইমকে উড়িয়ে দিলো বায়ার্ন
হেইডেনহাইমকে উড়িয়ে দিলো বায়ার্ন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকার তাপমাত্রা বাড়তে পারে
ঢাকার তাপমাত্রা বাড়তে পারে

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ শীর্ষে ঢাকা
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ শীর্ষে ঢাকা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল
ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

২৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

হুতির হামলায় সবচেয়ে অত্যাধুনিক ২০টি ড্রোন হারিয়ে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র
হুতির হামলায় সবচেয়ে অত্যাধুনিক ২০টি ড্রোন হারিয়ে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে
স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে

১৪ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভাতেও মিলল আর্সেনিক, এশিয়ানদের জন্য সতর্কবার্তা
ভাতেও মিলল আর্সেনিক, এশিয়ানদের জন্য সতর্কবার্তা

২ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

অস্ত্র ত্যাগ করবে না হিজবুল্লাহ, ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিলেন নাঈম কাশেম
অস্ত্র ত্যাগ করবে না হিজবুল্লাহ, ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিলেন নাঈম কাশেম

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পর্যটনের অপার সম্ভাবনা থাকলেও উন্নয়নবঞ্চিত সীমান্ত কন্যা
পর্যটনের অপার সম্ভাবনা থাকলেও উন্নয়নবঞ্চিত সীমান্ত কন্যা

২২ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আকাশে বিরল গ্রহ-চাঁদের মিলন: দেখা যাবে ‘স্মাইলি ফেস’
আকাশে বিরল গ্রহ-চাঁদের মিলন: দেখা যাবে ‘স্মাইলি ফেস’

১৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

প্রেমের টানে বাংলাদেশে
প্রেমের টানে বাংলাদেশে

রকমারি

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...
প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...

শোবিজ

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

মেহজাবীনের চাওয়া
মেহজাবীনের চাওয়া

শোবিজ

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

স্বাধীনতা কাপ ভলিবল
স্বাধীনতা কাপ ভলিবল

মাঠে ময়দানে

ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ

শোবিজ