গত বছরের ১১-১২ মে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানীর নাম ঘোষণা করা হয়। কমিটির মেয়াদ ১০ মাস পার হলেও এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি শোভন-রাব্বানী।
তবে শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে নড়াইল জেলার অন্তরগত নরাগাতি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে রিয়াজুল ইসলাম খান রিয়াজকে সভাপতি ও মো. মোরসালিন খন্দকারকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটি এই উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এতে নরাগাতি উপজেলা ছাত্রলীগের নব-নির্বাচিত সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম খান রিয়াজ বিবাহিত বলে অনেকে মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে স্ত্রীর সঙ্গে তার ছবি ও কাবিননামার কপি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী নরাগাতি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে কমিটির প্যাডটি আপলোড করলে সমালোচনা তুমুল আকার ধারণ করে।
কিছু মন্তব্য হুবহু তুলে ধরা হল : জহিরুল চৌধুরী লিখেন- 'এই মউলানা বিবাহ পড়াইছে। বিবাহ করলেও কী ছাত্রলীগ করা যায়?' ( ছবি সংযুক্ত)
তোফাজ্জল হোসেন সোহান বলেন- 'আপনাদের পূর্নাঙ্গ কমিটি কবে হবে? দেখতে দেখতে তো নয় মাস হয়ে গেল।'
আরেকজন লিখেন- 'থানা কমিটি যদি কেন্দ্রীয় কমিটি দেয়, তাহলে জেলার কমিটির কাজ কোথায়? নিজেদের কমিটি পূর্ণাঙ্গ নাই আর আপনারা থানা কমিটি দিচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সম্মানের দিকে নজর দিয়েন।'
ফয়সাল আহমদ তমাল বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে দিবেন? উপজেলার চেয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা জরুরি…
সোহেল রানা লিখেন- কেন্দ্রীয় কমিটির গঠনতন্ত্র কী? কবে পূর্ণাঙ্গ হবে?? এ ছাড়াও নরাইলে এই কমিটি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা হচ্ছে।
মোজহিদ আদনান লিখেন- কিছু প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছি না!! ১) কেন্দ্রীয় নেতাদের সইয়ের নিচে ১৭/০৪/১৯ তারিখ লেখা কিন্তু ঘোষণা করা হলো ২৭/০৪/১৯ তারিখ কেন? ২) আমার জানা মতে রিয়াজ ভাই বিবাহিত, তিনি কিভাবে নড়াগাতী থানার সভাপতি হন? ৩) দীর্ঘ ১০ দিন পর কেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ঘোষণা দিলো? ৪) কি এমন ঘটনা হলো যে হঠাৎ কেন্দ্রীয় কমিটিকে কেন নড়াগাতী থানার কমিটি দিতে হলো? ৫) যদি কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থানা কমিটির অনুমোদন দেয়, তাহলে জেলা কমিটির কি দরকার আছে? তাহলে সকল জেলা কমিটি বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি সকল জেলা পরিচালনা করুক।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে সভাপতির সাথেও যোগাযোগ যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম