এক আত্মীয়ের সাথে তার বাসায় বসে আলাপ হচ্ছিল। নার্সারীতে পড়া শিশুটি প্রথমে বাবার কাছ থেকে মোবাইল নিল। আমি ভাবলাম হয়তো মোবাইল নিয়ে খেলবে। কিন্তু বিষয়টি সে রকম ছিল না। বাচ্চাটি ফোনের স্ক্রিনের উপর ইউটিউবের লোগো টাচ করলো। সার্চ অপশনে যেয়ে ইংরেজীতে ‘oggy’ লিখে সার্চ দিল। তারপর একটা ভিডিও লিংকের উপর ছোট্ট আঙুল রেখে কার্টুন চালু করল।
এরপর আধাঘণ্টা শিশুটির আর কোন কথা নেই। নিজে নিজেই কার্টুন সিলেক্ট করে চালু করতে থাকল। বিপত্তি বাঁধলো যখন তার বাবা আমার সাথে ঘরের বাইরে আসার জন্য ছেলের কাছে মোবাইলটি চাইল।
কিন্তু অবুঝ শিশুটি তো আর বাবার প্রয়োজন বোঝে না। সে মোবাইল কোন মতেই তার বাবাকে দিতে চাইল না। জোর করে নিতে চাইলেই চিৎকার করে কান্না শুরু করে দেয়। বেশ কয়েকবার একই অবস্থা।
উপায় না দেখে মোবাইলটি ক্লাস ওয়ানে পড়া শিশুটির কাছে রেখেই ঘর থেকে বের হলেন। সাথে সেই আত্মীয় আমাকে আরো বলল, খাওয়ানোর সময় বাচ্চার হাতে মোবাইল হাতে দিতে হবে, ঘুমানোর সময় মোবাইল দিতে হবে। এখন স্কুলে যাবার আগেও আমার মোবাইল সাথে নিয়ে যেতে চাইছে। বোঝো বিষয়টা কোন দিকে যাচ্ছে।
আমিও মনে মনে বলি, হায়রে স্মার্টফোন!
লেখক: বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা