শিমুল-পলাশের দোলায় কোকিলের কুহু...কুহু সুরের মূর্ছনায় হাজির হল ঋতুরাজ বসন্ত। নেচে গেয়ে বসন্তকে বরণ করল তরুণ প্রাণ। না শীত, না গরমের ঋতুটি অধিকাংশের কাছেই অতি প্রিয়। তবে এর বালাইও কম নয়। বাতাসে ধূলোর পরিমান বেশি হওয়ায় এ ঋতুতে নানা রোগব্যধিও যেন ধূলোয় ভর দিয়ে উড়ে চলে। এ সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বায়ুবাহিত নানা রোগ। সর্দি-কাশি, চুলকানি ছাড়াও নানা সংক্রামক রোগের শিকার হন অনেকে। অ্যালার্জির ঝামেলা যাদের আছে তারাও থাকেন বিপাকে। বসন্তে নানা রকম ফুলও ফোটে। আর এসব ফুলের পরাগরেনু অনেকের অ্যালার্জির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এ সময় কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। কী করবেন বসন্তে-
বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন। বাড়ি ফিরে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করুন। নিয়মিত চুলে শ্যাম্পু করুন ও নাক পরিষ্কার রাখুন। বিছানার চাদর নিয়মিত গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। মাঝে মাঝে ঘরের জানালা খুলে দিন। এতে ঘরে রোদ প্রবেশ করবে। ফলে ফাঙ্গাস জমতে পারবে না। স্নান ঘর পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান।
অ্যালার্জি ও চুলকানি থেকে মুক্ত থাকতে এসময় তেতো খাবার যেমন, নিম পাতার রস, চিরতা ও করলা খাওয়া উচিত। গোসলের সময় পানিতে নিমপাতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলেও উপকার পাওয়া যায়।
এসময় বাতাসে জীবাণুর মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ফ্লু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জ্বর, শরীর ব্যথা ও শরীর দূর্বল হয়ে যাওয়া এর সাধারণ উপসর্গ। ফ্লু হলে প্রচুর তরল খাবার খাওয়া উচিত। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি, ফলের রস ও স্যুপ খেতে পারেন। তবে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় পান করা উচিত নয়।
সাইনোসাইটিসের কারণে কপাল, ভ্রুর নিচের অংশ, নাকের আশেপাশে ও মুখমণ্ডলের একপাশে ব্যথা হয়। ব্যথা বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড নেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও গরম পানিতে মেনথল দিয়ে দিনে দু’বার ভ্যাপার নিলে উপকার পাওয়া যায়।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫/ এস আহমেদ