গ্রীষ্মের সুস্বাদু ও উপকারী ফল তরমুজ। শুধু তাই নয়, তরমুজের ৯০ শতাংশই পানি। এই গরমে শরীরের পানির চাহিদা পূরণে জুড়ি নেই ফলটির। পাশাপাশি ফলটির রয়েছে লাল-সবুজের নজরকাড়া রং। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, তরমুজের বিচিতে রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টি উপাদান।
অথচ তরমুজ খাওয়ার সময় অনেকেই এর বিচি ফেলে দেন। কিন্তু এই 'বিরক্তিকর' বিচিই কমাতে পারে আপনার কোলেস্টেরল, হৃদরোগের ঝুঁকিসহ অনেক রোগ। এই তরমুজের বিচিতে রয়েছে ১০ গ্রাম প্রোটিন। আরো রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, থিয়ামিন, নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস ও কপার। এসব ছাড়াও এটি ক্যালরিরও ভালো উৎস। ১০০ গ্রাম তরমুজের বিচিতে রয়েছে ৬০০ গ্রাম কিলো ক্যালরি।
এ ছাড়াও অঙ্কুরিত বীজে রয়েছে আরো বেশি পুষ্টি উপাদান। যা খাবার হজমে সহায়তা করে। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম ও মনোয়ানস্যাচ্যুরেটেড ও পলিয়ানস্যাচ্যুরেটেড ফ্যাট। মনোয়ানস্যাচ্যুরেটেড ও পলিয়ানস্যাচ্যুরেটেড ফ্যাট হলো ভালো উদ্ভিজ্জ ফ্যাট। যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনে, স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। একইসঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশের জ্বালা-পোড়া দূর করে।
অন্যদিকে তরমুজের বিচি ডায়বেটিসের ভালো পথ্য। এক লিটার পানিতে এক মুঠো তরমুজের বিচি দিয়ে ৪৫ মিনিট সেদ্ধ করুন। এরপর ঢাকনাসহ পাত্রে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন চায়ের মতো করে পান করলে উপকার পাবেন। বাদামের মতো পুরু তরমুজের বিচি খেতে অনেকটা সূর্যমুখীর বীজের মতোই। সালাদেও সহজেই খেতে পারেন। পাশাপাশি তরমুজের বিচি গুড়াও সংরক্ষন করে খেতে পারেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ এপ্রিল, ২০১৫/ রোকেয়া।