চলতি বছর করোনার গ্রাসে ছিল গোটা দুনিয়া। এই বছর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মোট ৫১ বার হয়েছে ভূমিকম্প। এই ভূমিকম্পগুলোতে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটা এক বড় ক্ষতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আইআইটি ধানবাদের সিসমোলজি বিভাগের প্রধান পিকে খানের মতে, এই ভূমিকম্পগুলো বড় ধ্বংসের লক্ষণ। এর ফলে একটি বড় ভূমিকম্প হতে পারে। গত বছর দিল্লি এনসিআর-এ ৪ থেকে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্পগুলো হয়েছে। এখানে স্ট্রেন এনার্জি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৪ থেকে ৪.৯ মাপের ৬৪টি ভূমিকম্প হয়েছে। আর ৫-এর ঊর্ধ্বে কম্পন হয়েছে ৮ বার।
ইন্সটিটিউট অব হিমালয়ান জিওলজি, দেরাদুন-এর নির্দেশক ডক্টর কে সেন বলেন, ইন্ডিয়ান অ্যাটলাসের আন্তরিক বিভাগে দিল্লি –এনসি আর রয়েছে ভূমিকম্পের লম্বা ইতিহাস। তবে এর তীব্রতা কতটা তা অনুমান করা যাচ্ছে না। তবুও এই ঝাটকা বড় ভূমিকম্পের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
দিল্লির এই অবস্থার তিনটি কারণ হতে পারে। ১.এই ঘটনা হবে কিন্তু বড় কোনও ক্ষতি হবে না। ২. এই ছোট ছোট ঝটকাগুলোর শেষে বড় ভূমিকম্প আসবে। কিন্তু সাধারণত পাঁচ থেকে সাতটি ঝাটকার পর এটা বয়ে যায়। ৩. দিল্লির এই ছোট ঝাটকাগুলো অন্য কোনও জায়গার জন্য হতে পারে বড় ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত।
দিল্লির অবস্থান সিসমিক জোন ৪ এ রয়েছে। যার জন্য সুসময়ে ভূমিকম্পের ভয় থেকেই যায়। আবার দিল্লির ৩০ শতাংশ জোন রয়েছে ৫ এ-র আওতায়।
দিল্লিকে বড় বিপদ থেকে বাঁচাতে স্থানীয় অথরিটিকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিটা বিল্ডিং তৈরির সময় এইদিকে নজর রাখতে হবে। সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিমালয়ান এলাকা থেকে দিল্লি মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। সূত্র: নিউজ১৮
বিডি প্রতিদিন/কালাম