মিশনারিজ অব চ্যারিটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ বা বাজেয়াপ্ত করার খবর ঠিক নয় বলে জানাল ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার প্রয়াত মাদার তেরেসার হাতে গড়া স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ করেন। আরও নানা মহল থেকে একই অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, স্টেট ব্যাংক ইন্ডিয়া জানিয়েছে, চ্যারিটি নিজেরাই তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার অনুরোধ জানিয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে (এফসিআরএ) চ্যারিটির এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন পুনরায় নবায়নের আবেদন গত ২৫ ডিসেম্বর খারিজ করা হয়, এই সংক্রান্ত ২০১০ এর আইন ২০১১র ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন রুলসে বেঁধে দেওয়া যোগ্যতার মাপকাঠি পূরণ করতে না পারায়। কেন্দ্রের আরও দাবি, রেজিস্ট্রেশন রিনিউয়ালের আবেদন প্রত্যাখ্যানের পরও তার রিভিউ চেয়ে চ্যারিটির পক্ষ থেকে কোনও আবেদন তাদের কাছে আসেনি।
চ্যারিটি এফসিআরএ-র আওতায় রেজিস্টার্ড হয়েছিল এবং তার বৈধতা ছিল ২০২১ এর ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। তবে সেই বৈধতার মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
কিন্তু তাদের রিনিউয়ালের আবেদন বিবেচনা করতে গিয়ে কিছু ক্ষতিকর ইনপুট কেন্দ্রের নজরে আসে। তাই তাদের এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশনের রিনিউয়াল অনুমোদন করা হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তাদের কোনও অ্যাকাউন্টই ফ্রিজ করেনি।
স্টেট ব্যাংকই কেন্দ্রকে জানিয়েছে যে, চ্যারিটির পক্ষই তাদের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করার আবেদন পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে মিশনারিজ অব চ্যারিটির প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা, আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত