আবারও বেড়েছে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রবণতা। গত মঙ্গল ও বুধবার নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড পৃথক অভিযান চালিয়ে ১২ দালালসহ ৪২৩ জনকে আটক করছে। তাদের মধ্যে ৪২ জন বাংলাদেশি রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল দুপুরে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, ৯ এপ্রিল রাতে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় মানব পাচারকালে সেন্টমার্টিন উপকূল থেকে ১৬৭ রোহিঙ্গা ও ৪২ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় পাচারকারী চক্রের ১২ সদস্যকে। উদ্ধারদের মধ্যে রোহিঙ্গা পুরুষ ৬৭, নারী ৭২ এবং শিশু ২৮ জন রয়েছে। বাংলাদেশি ৪২ পুরুষের মধ্যে ১২ জন দালাল। ওসি জানান, সেন্টমার্টিনে টহল দেওয়ার সময় কোস্টগার্ড সদস্যরা দেখতে পান, একটি পুরাতন ইঞ্জিনচালিত কাঠের বোট দিয়ে কিছু লোককে বহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বোটটির গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় তাদের পিছু নেয় কোস্টগার্ড। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপের পুবপাশ থেকে এটি আটক করা হয়। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা বোটে থাকা লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন, তাদের অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে ৮ এপ্রিল দুপুরে মালয়েশিয়াগামী ২১৪ রোহিঙ্গাসহ একটি মাছ ধরার নৌকা আটক করেছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা।
নৌবাহিনী সূত্রে জানা যায়, নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা দুর্জয় সেন্টমার্টিন থেকে ৪৪ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে টহলরত অবস্থায় এফভি কুলসুম নামে মাছ ধরার নৌকাটির সন্দেহমূলক গতিবিধি লক্ষ করে সেটি আটক করে। নৌবাহিনীর সদস্যরা নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে ২১৪ যাত্রীকে আটক করেন। যাদের মধ্যে ১১৮ পুরুষ, ৬৮ নারী এবং ২৮ শিশু রয়েছে। আটকদের সবাই মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক বলে জানা যায়। নৌবাহিনী জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন তারা সবাই মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন।
জানা যায়, নৌকাটি সোমবার রাতে টেকনাফ উপজেলার শাপলাপুর থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে।