হবিগঞ্জে শতবর্ষী গাছসহ বেশ কয়েকটি বড় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অনেকে। শুক্রবার বিকালে জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম এলাকায় গাছগুলো কাটা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শতবর্ষী এ গাছগুলো এতদিন পরিবেশ রক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামের পাশে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা গাছের নিচে সময় কাটাতেন। এ ছাড়া নানা প্রজাতির পাখির আবাস ছিল এসব গাছে। হঠাৎ ওই এলাকার ৯টি গাছের মধ্যে ৫টি কেটে ফেলা হয়েছে। সূত্র জানায়, জেলা পরিষদের নিলামের কার্যাদেশ অনুযায়ী গাছগুলো কাটা হচ্ছিল।
একপর্যায়ে এলাকাবাসীর বাধায় গাছ কাটা বন্ধ করা হয়। যদিও জেলা পরিষদ সূত্র বলছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পরিষদের মাসিক সভায় অডিটরিয়ামের দেয়াল সম্প্রসারণের জন্য গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেন কর্মকর্তারা। সে অনুযায়ী শুক্রবার বড় ৫টি গাছ কাটা হয়। পরিবেশকর্মী সৌরভ আহমেদ বলেন, গাছগুলো নানা প্রজাতির পাখির আবাসস্থল ছিল। সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা সেখানে অবসর সময় কাটাত। গাছগুলো কাটার ফলে এখন সে এলাকার পরিবেশের চিত্র ভিন্ন হয়ে গেছে। মোস্তাক আহমেদ নামে একজন বলেন, সামান্য অজুহাতে গাছ কাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এমন অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, সরকার যখন পরিবেশ সংরক্ষণে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন একটি সরকারি স্থাপনায় শতবর্ষী গাছ কেটে ফেলা দুঃখজনক। গাছ কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, গাছ কাটা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। দেয়াল সম্প্রসারণের সুবিধার্থে গাছ কাটা হয়েছিল।