গেল সপ্তাহজুড়েই দরপতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। চার কার্যদিবসের লেনদেনে প্রতিদিন কমেছে সূচক। কমেছে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহের শেষ দিনেও গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেন কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকয়টি মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
ডিএসইতে সপ্তাহের চার দিনের লেনদেনে সূচক কমেছে ১০৮ পয়েন্ট। শেষদিনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন শেষে সব খাত মিলিয়ে ডিএসইতে ১২৪ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯০টির। এ ছাড়া ৮২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৯৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৫৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। লেনদেনের শীর্ষে ছিল বিচ হ্যাচারির শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকার। ১২ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক।
অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০১টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির দাম। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা।