বাংলাদেশ হতে আম আমদানির আগ্রহের কথা জানিয়েছে জাপান। রবিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো সাক্ষাৎ করতে এলে এ আগ্রহের কথা জানান তিনি। এ সময় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎ শেষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য ঘাটতির দেশ বর্তমানে খাদ্য রপ্তানির দেশে পরিণত হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যে এ বিরল সম্মান অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। তাই খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। কৃষিকে লাভজনক করতে সরকার বিদেশে খাদ্য রপ্তানির পরিকল্পনা করছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য, শিক্ষা-সহ আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে। আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে কৃষিকে শতভাগ যান্ত্রিকীকরণ ও বহুমুখীকরণ করা হবে।
কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, কৃষি বাণিজ্যিকীরণে, পোল্ট্রি বাণিজ্যিকীরণ এবং ডেইরি বাণিজ্যিকীকরণে যেতে চায় বাংলাদেশ। এ খাতগুলোতে জাপানের সহযোগিতা প্রয়োজন। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করা হবে। সরকার এ বিষয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে পাশে থাকা জাপান এবার কৃষি উন্নয়নেও বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী। এটি জাপান বাংলাদেশের বন্ধুত্বের নির্দশন। এ সময় তিনি কৃষি যন্ত্রে প্রণোদনা দেয়ার কথাও উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ হতে আম আমদানির আগ্রহের কথা জানান জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নোয়াকি। সে ক্ষেত্রে ফ্রুট ফ্লাই কীটমুক্ত আম চান তিনি। এছাড়াও জাপান কৃষিখাতে নির্দিষ্ট কৃষিকাজে দক্ষ জনবল নেয়ার কথা জানান। অতীতের মতো বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব