খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষকের ন্যায্যমূল্যের কথা চিন্তা করেই সরকার প্রথমবারের মতো আমন মৌসুমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করছে। যাতে কৃষক ধান উৎপাদনে আরো উৎসাহিত হয়। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে কৃষকের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
পটুয়াখালী সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছর ১৬ টি জেলার ১৬টি উপজেলায় অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহে দেশের সকল উপজেলায় মোবাইল অ্যাপস চালু করা হবে।
তিনি আরো বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ই প্রথম খাদ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে শুদ্ধাচার কৌশল বিষয়ক সভা করেছিল। সেখানে খাদ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সতর্ক করে, দুর্নীতি পরিহার করে নিজেদেরকে শুদ্ধ হতে বলা হয়েছিল। তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত, সুন্দর, আলোকিত খাদ্য বিভাগ তথা খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা আমাদের লক্ষ্য।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা নিজেদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলি, দেশকে ভালোবাসি। দেশের প্রতিটি সেক্টর যদি একসঙ্গে, সমভাবে এগিয়ে যেতে পারে তাহলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ অচিরেই বিনির্মাণ করতে পারব।
সভায় পটুয়াখালী জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মো. মনির হোসেন বলেন, পটুয়াখালীতে মূলত আমন ধান বেশি উৎপাদিত হয়। পূর্বে কখনো কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি আমন ধান সংগ্রহ করা হয়নি, এবারই প্রথম কৃষক সরাসরি সরকারি খাদ্য গুদামগুলোতে আমন ধান দিতে পারছে। এতে কৃষকরা খুশি ও আনন্দিত। তিনি সংগ্রহের সময় আরো কিছুদিন বাড়িয়ে দেবারও দাবি জানান।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, বরিশাল বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারুক হোসেন, চালকল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ খাদ্য ও কৃষি বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভা শেষে মন্ত্রী পটুয়াখালী সদর খাদ্য গুদাম ও খেপুপাড়া খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব