তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ৭ নভেম্বর সমস্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। পর্দার অন্তরাল থেকে তিনিই এসমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এবং খুনিদের তিনি বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত করেছিলেন।
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে “জেল হত্যা দিবস” উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুন সরকার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাট্য অভিনেত্রী তারিন জাহান, জোট নেতা চিত্রপরিচালক রফিকুল ইসলাম বুলবুলসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি অবৈধ রাজনৈতিক দল। এ দল ক্যান্টনমেন্ট থেকে জন্মগ্রহণ করেছিল। ৭ নভেম্বর বিপ্লব দিবস নয়, বাঙালি জাতির জীবনে কালো দিবস। জিয়াউর রহমান মনে প্রাণে মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেননি বলেই তিনি খন্দকার মোস্তাকের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের গুপ্তচর। আওয়ামী লীগকে চিরতরে ধ্বংস করার জন্য তিনি স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিলেন। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাবস্থায় তার কুপুত্র তারেক জিয়া জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ২১ আগস্ট সকল পরিকল্পনা করেছিল। শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর বুকে রোল মডেল।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত