বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, গণতান্ত্রিক সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরই হবে অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
আজ বুধবার সকালে বগুড়া জেলা প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শহরের দত্তপাড়ায় এক মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, গণহত্যার বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের বিপরীতে দাঁড় করানোর কোন সুযোগ নেই। কারণ অপরাধের বিচার ও সংস্কারের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলসমূহের জনগণের কাছে সুস্পষ্ট অঙ্গিকার রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা ও বিভ্রান্তি অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। এতে রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে সরকারের এক ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দূরত্বও তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যেহেতু নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকার কথা নয় সে কারণে নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত রাখারও কোন অবকাশ নেই।
তিনি বলেন, গত ষোল বছর দেশ পরিচালনায় মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেনি। ভোট ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচনের কথা মানুষ ভুলতে বসেছে। শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গত দেড় দশকে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণআন্দোলনের প্রধান বিষয় ছিল ভোটের অধিকারসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্টার দাবি। গণঅভ্যুত্থানের পর এখন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও যদি আবার ভোট বা নির্বাচনের দাবি তুলতে হয় সেটা বিব্রতকর। তিনি সরকারের উপর আস্থা প্রকাশ করে বলেন, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা রাজনৈতিক দল ও জনগণকে আস্বস্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
আবদুর রউফের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফিরোজ আহমেদ, পার্টির টাঙ্গাইল জেলার নেতা মাহমুদুল হাসান পিপলু, গাইবান্ধা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, নীলফামারী জেলার নেতা এডভোকেট মোজাফফর হোসেন, মোশাররফ হোসেন নান্নু, পার্টির বগুড়ার সংগঠক সাইফুল ইসলাম, মনি সরকার প্রমুখ।
সভার শুরুতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করা হয় এবং দাঁড়িয়ে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
সভায় বামপন্থী ধারার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাজনৈতিক নেতা ও সংগঠকেরা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাথে তাদের সংহতি ব্যক্ত করেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত