চলতি পঞ্জিকা বছরের জানুয়ারি-জুন প্রান্তিকের জন্য সতর্কতামূলক ও সংযত মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। খাদ্য ও জ্বালানি বহির্ভূত কোর মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এ ধরনের মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, মূদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জন করা নির্ভর করছে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে নতুন এ মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. আতিউর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরে দ্বিতীয়মোট দেশজ উৎপাদনে ৬ দশমিক ৮ থেকে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে। তবে বর্তমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে অর্থবছর শেষে এই প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশও স্পর্শ করতে পারে।
গভর্নর বলেন, নতুন এ মুদ্রানীতিতে কমানো হয়েছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন। বেশ কিছুদিন ধরে চলে আসা বিনিয়োগ মন্দার কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর’ ২০১৫) ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ শতাংশ। তাই এবার একটু সতর্ক হয়েই কেন্দ্রীয় এ খাতের ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। আর পাবলিক সেক্টরের ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
তবে বিনিয়োগ পরিস্থিতির যদি উন্নয়ন ঘটে তবে লক্ষ্যমাত্রা আরো বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আতিউর রহমান। তিনি বলেন, আমারা চাই আমাদের ঋণ বিতরণের যে প্রবৃদ্ধি ঘটবে তা যেন সামগ্রিক হয়। একজন উদ্যোক্তাকে বড় ঋণ না দিয়ে অর্থাৎ ৫শ’ কোটি টাকা একজনকে না দিয়ে ৫ জনকে ১শ’ কোটি করে ঋণ সহয়াতা দেয়ার নীতিতে এগিয়ে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত জুনে মূল্যস্ফীতি ছয় দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমে ডিসেম্বরে ৬ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়ায়। ঘোষিত নতুন নীতিতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব