দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘নাদা’র বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার কোনো আশঙ্কা নেই। ঘুর্ণিঝড়টি শুক্রবার সকালে ভারতের তামিল নাড়ু উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির বাংলাদেশে আসার কোনো আশঙ্কা নেই। এটি ভারতের উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিল নাড়ু উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বৃহস্পতিবার বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় নাদা পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘নাদা’র কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে এবং উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার বুলেটিনে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে রবিবার ভোর নাগাদ তামিল নাড়ু উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার বাংলাদেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের কোনো কোনো স্থানে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশে বিভিন্ন স্থানে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/ ০১ ডিসেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-১৩