রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ন্যায়বিচারের প্রতীক 'দাঁড়িপাল্লা'র ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিটি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের প্রতীক হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে চিঠিতে। বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রতিষ্ঠাকাল হতে ‘দাঁড়িপাল্লা’ ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রোমে ব্যবহার করা হয়। ফলে ‘দাঁড়িপাল্লা’ অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। 'দাঁড়িপাল্লা' ন্যায়বিচার তথা সুপ্রিম কোর্টের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার হওয়ার পাশাপাশি যদি কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয় তাহলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।”
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভায় রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’র ব্যবহার বন্ধে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সভার সিদ্ধান্তের বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, “সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভার উক্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে বা কোনো নির্বাচনে প্রার্থীর প্রতীক হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ বরাদ্দ প্রদান না করা এবং যদি বরাদ্দ প্রদান করা হয়ে থাকে তাহলে উক্ত বরাদ্দ বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী এক সময় ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছে। ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর ওই প্রতীকেই দলটিকে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দলীয় গঠনতন্ত্রের কারণে উচ্চ আদালতের আদেশে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ হয়ে গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ