হঠাৎ ভারতের ঝাড়খন্ডের এক কয়লার খনিতে ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া খনির মধ্যে এখনও আটকে রয়েছেন প্রায় অর্ধ শতাধিক কর্মী। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে শিফট বদল করার সময় ঝাড়খন্ডের গোড়া জেলার রাজমহল এলাকায় ওই খনিতে এ ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পর পরই পাটনা থেকে পর পর বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী দল লালমাটিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। ঘটনাস্থলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও হাজির হয়। তবে ঘন কুয়াশা এবং অন্ধকারের জন্য রাতে উদ্ধার কাজ চালানো সম্ভব হয়নি। এরপর শুক্রবার ভোর থেকেই খনির মধ্যে থেকে কর্মীদের উদ্ধার করতে নেমে পড়ে উদ্ধারকারী দল।
এরপর একে একে ১০ টি লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে খনির মধ্যে আটকে পড়া কর্মীরা কী অবস্থায় রয়েছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। ফলে সময়ের সাথে সাথে উদ্বেগও বাড়ছে। উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে পাঁচজনকে সনাক্ত করা গেলেও বাকীদের পরিচয় এখনও জানা যায় নি। নিহতরা প্রত্যেকেই পাশের রাজ্য বিহারের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তারা প্রত্যেকেই ওই খনিতে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতো। ধ্বংস্তুপের তলায় কয়লা উত্তোলনে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি পে-লোডার, ট্রাক ও যন্ত্রপাতি চাপা পড়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ডিরেক্টর জেনারেল অফ মাইন সেফটি এবং দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে ভারতের কোল ইন্ডিয়া লিমিটেডের নেতৃত্বে একটি শীর্ষ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খনি ধসে নিহতদের পরিবার পিছু ৫ লাখ রুপি করে আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে রাজ্যটির প্রধান সচিব রাজ বালা ভার্মা। তিনি জানান দ্রুত গতিতে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে এবং এই ঘটনায় দোষীব্যক্তিদের কঠোর সাজা দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/৩০ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল