বঙ্গোপসাগরের ১২ নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে তলা ফেটে ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই কার্গোটি উদ্ধার অভিযান ২৬ ঘন্টায়ও শুরু হয়নি। তবে শনিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, কোষ্টগার্ড এবং মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডোর ফারুক হাসান মুঠোফোনে জানান, ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই কার্গোটি উদ্ধারে যৌথ প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল স্রোতের কারণে সহসাই উদ্ধার অভিযান শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে এ ঘটনায় মংলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন কার্গোটির মাষ্টার সোহেল রানা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় মংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ের অদূরে হিরনপয়েন্টে ১ হাজার ১০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় ‘এমভি আইচগাতি’ নামের এ কার্গো জাহাজ। বসুন্ধরা গ্রুপের জাহাজ পাশ দিয়ে যাবার পথে সমুদ্রে ভাসতে থাকা ১৪ নাবিক ও কর্মকর্তাদের উদ্ধার করায় এ দুর্ঘটনায় কোন হতাহত হয়নি।
এর আগে গেল ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ১ হাজার ২৩৫ মে. টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় এমভি সী হর্স নামে একটি লাইটারেজ জাহাজ। তারও আগে গেল ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর ৫১০ মে. টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় জিয়া রাজ নামে আরো একটি লাইটারেজ জাহাজ। তবে সেখান থেকে কয়লা উদ্ধার হলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজগুলো।
এদিকে উদ্ধারকাজ শুরু করতে বিলম্ব হওয়ায় ডুবন্ত জাহাজটি স্রোতে অন্যদিকে সরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ওই জাহাজের নাবিকরা। তখন আগের জাহাজগুলোর মতো এটিকেও সাগরের বুকে রেখেই উদ্ধার অভিযান শেষ হবে বলে ধারণা তাদের।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ