জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা সরবরাহের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। শীর্ষে আছে ভারত। দ্বিতীয় অবস্থানে পাকিস্তান।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে মূলত এশিয়ান দেশগুলোর আধিপত্য। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং নেপাল সম্মিলিতভাবে মোট শান্তিরক্ষীদের একটি বড় অংশের জোগান দেয়।
জাতিসংঘের নিজস্ব কোনো সেনাবাহিনী নেই। শান্তিরক্ষার কাজে সংস্থাটি বিভিন্ন দেশ থেকে শান্তিরক্ষী সংগ্রহ করে। শান্তিরক্ষা মিশনে মোট সেনার সংখ্যা এক লাখেরও বেশি।
১৯৮৮ সাল থেকেই জাতিসংঘের ৫৮টি শান্তি মিশনে মোট ৬ হাজার ৭৭২ বাংলাদেশি সেনা সদস্য কাজ করে আসছে।
জাতিসংঘের শান্তি মিশনে দক্ষিণ এশীয় সেনার সংখ্যাই বেশি। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ৭ হাজার ৪৭১ জন সেনা সরবরাহ করে শীর্ষস্থানে রয়েছে। ভারত অন্য আর যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি সংখ্যক শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ করেছে।
পাকিস্তান ৭ হাজার ১৬১ জন সেনা সরবরাহ করে শান্তিমিশনে অবদান রাখার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শীর্ষস্থানে আছে।
১৯৯২ সালে সোমালিয়া সংকটে সবার আগে সাঁড়া দিয়েছিল পাকিস্তান। এবং ৫০০ জন সেনা প্রেরণ করেছিল। নেপাল ১১টি শান্তি মিশনে সেনা পাঠিয়ে সহায়তা করেছে। যার বেশিরভাগই ছিল আফ্রিকায়।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সেনা সদস্যদের সংখ্যা বিচার করলে সেটি হবে বিশ্বের ৪৪তম সেনাবাহিনী।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে ১ লাখের বেশি সেনা সদস্য আছে। যার মধ্যে ৯১ হাজার ১৩২জন সৈন্য, ১৩ হাজার ৫৬৩ জন পুলিশ এবং ১ হাজার ৮১১ জন সেনাসদস্য। বিশ্বের ১২৩টি দেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সৈন্য পাঠিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/০৯ ডিসেম্বর ২০১৭/আরাফাত