সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, ড. কামাল হোসেনকে সংবিধান প্রণেতা বলা যাবে না। কারণ তিনি সংবিধান প্রণেতা নন। বাংলাদেশের সংবিধানের সকল ধর্মের সমান অধিকার ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান তছনছ করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে সাউথ এশিয়ান ল'ইয়ার্স ফোরাম (SALF) ন্যাশনাল চ্যাপ্টারের উদ্যোগে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের মিলনায়তনে 'বাংলাদেশের সাংবিধানিক কাঠামো ও মানবাধিকার : সংকট ও সমাধান' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর আদালতকে জিম্মি করে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বিএনপির আইনজীবীরা। এদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণহত্যা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও সাউথ এশিয়ান ল’ ইয়ার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মানবাধিকার রক্ষাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এতটাই গুরুত্ব দিয়েছেন যে, নিজেদের অনেক ক্ষতি সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে এ দেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মানবাধিকার রক্ষায় শেখ হাসিনা এখন সারা বিশ্বের রোল মডেল।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও সাউথ এশিয়ান ল’ইয়ার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে গোল টেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ ও ড. মমতাজউদ্দিন মেহেদী, সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট আবদুন নূর দুলাল, ব্লাস্টের প্যানেল আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সুপ্রীমকোর্ট সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও ডেপুটি এটর্নী জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান, সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম, অ্যাডভোকেট শাহ আলম ইকবাল, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ হারুন রাসেল, অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম আকাশ, অ্যাডভোকেট জগলুল কবির, অ্যাডভোকেট আয়ুবুর রহমান, অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক স্বপন, অ্যাডভোকেট এনামুল হক এনাম ও অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত