বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘গত ১০-১২ বছরে এই দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। শেয়ার মার্কেট লুট করা হয়েছে। এমনকি আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্যন্তও লুট হয়ে গেছে। আজ ওই পরিমাণ টাকা যদি আমাদের তহবিলে থাকতো, তাহলে বিদেশিদের কাছে হাত পাততে হতো না। এই টাকা দিয়ে আরও ৫০ থেকে ১০০টা পদ্মাসেতু তৈরি করা যেত।’
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়াকে অবলিম্বে মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্সদের সংগঠক জেটেব-এর সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, দলের সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, রুহুল আমিন ও ফখরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘এসব টাকা কারা লুট করেছে তাদের বের করুন, তাদের শাস্তি দিন। তা না করলে নিশ্চয়ই সবাই মনে করবে- লুটের সঙ্গে আপনারাও জড়িত আছেন। ওই সময় অর্থমন্ত্রী একটি তদন্ত রিপোর্ট করলেন, সেটাতে উল্লেখ করলেন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছেন। কারা এই গুরুত্বপূর্ণ লোক জনগণ জানতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘কী একাটা অদ্ভুত দেশে বাস করি আমরা! জেলা পর্যায়ের ছাত্রনেতা ২ হাজার কোটি টাকার মালিক। এই দলের নেতাকর্মীদের বালিশের মধ্যে টাকা, ঘরের মধ্যে টাকা, আলমারিতে টাকা, সবখানে টাকা আর টাকা। কোথা থেকে আসে এত টাকা? টাকা কি বাচ্চা দেয়? যারা মানুষের টাকা লুট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, তাদের কাছ থেকে মানবতা আশা করা যায় না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিশ্বের বহু দেশে আমাদের যাওয়ার সুযোগ হয়েছে, তার মধ্যে কোনো দেশে আমাদের চেয়ে কম শিক্ষিত মানুষ রয়েছে, আবার কোনো দেশে বেশি। কোনো দেশ বেশি উন্নত, আবার কোনোটা কম। এরকম অনেক দেশে যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। কিন্তু কোনো দেশে কারও সুচিকিৎসার জন্য আন্দোলন করতে হয়, এরকমটা কোথাও দেখিনি। কোনো সভ্য দেশে নাগরিকের সুচিকিৎসার জন্য দাবি ও আন্দোলন করতে হয়- এটা অস্বাভাবিক ঘটনা। মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে কি করে বলি, ক্ষমতার মোহে আজকে আমার দেশকে একটা অসভ্য দেশে পরিণতি করা হলো।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক