আগামী নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না বলে উল্লেখ করে বিএনপির দিকে ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনে নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে বড় রাজনৈতিক দল যারা ছিলেন তাদের মধ্যে যারা ভোট বর্জনের রাজনীতি করেছেন, ভোট প্রতিরোধের রাজনীতি করেছেন তারা দেশে থেকে নিঃশেষ ও বিলীন হয়ে গিয়েছে।
রবিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নারী উদ্যোক্তা ও দলীয় নারী সংগঠন প্রধানদের সঙ্গে এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন নানক। তৃণমূল নারী উদ্যোক্ত সোসাইটি-নামে একটি সংগঠন এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে তৃণমূলের নারী উদ্যোক্তরা নিজেদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলেন। এছাড়া সেখানে নারী উদ্যোক্তদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শনও করা হয়।
নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের এই নেতা বলেন, এ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে অনেক দেশিয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। এ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি দেশের বিভিন্ন স্থানে গুপ্ত হামলা ও গুপ্ত হত্যা করছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এ অপশক্তিকে বলতে চাই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেই। এমন নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে একটি উৎসবে পরিণত হবে। এ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। আমাদের কাছে দৃষ্টান্ত আছে, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে বড় রাজনৈতিক দল যারা ছিলেন তাদের মধ্যে যারা ভোট বর্জনের রাজনীতি করেছেন, ভোট প্রতিরোধের রাজনীতি করেছেন তারা দেশে থেকে নিঃশেষ ও বিলীন হয়ে গিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের দেশের বর্তমান উন্নয়ন-অগ্রগতি অন্তরজ্বালা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মনে রাখতে হবে-এই বাংলাদেশ কোথায় ছিল। আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন কোথায় আছে। বাংলাদেশ এক সময় অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। এ দেশে একজন নারী ভবিষ্যতের স্বপ্নও দেখতে পারতো না। কিন্তু এখন এবার যারা প্রথম ভোটার তারা বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। কারণ আমাদের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন স্বপ্নবাজ মানুষ এবং তিনি স্বপ্নকে সফল করার একজন প্রত্যয়ী নেত্রী, রাষ্ট্রনায়ক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী সমাজ আজকে এগিয়ে গিয়েছে। আজকে নারী সমাজ শুধু ক্ষুদ্র উদ্যোক্ত নয় বড় বড় শিল্প উদ্যোক্তাও হয়েছেন।
দেশের নারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে দেশকে অন্ধকারে ফিরিয়ে নেবার। এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় নারীদের আগামী জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে। ভোট কেন্দ্র গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন। এ নির্বাচন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার নির্বাচন। এ নির্বাচন অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা রক্ষার নির্বাচন। এ নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নির্বাচন।
এ সময় তিনি বলেন, আপনারা দেশের স্বাধীনতা রক্ষার্থে-দেশের গণতন্ত্র রক্ষার্থে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন। আসন্ন ৭ জানুয়ারি সারাদেশে যে ভোট উৎসব শুরু হয়েছে এই উৎসবে অংশ নেবেন আপনারাও। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেবেন আপনারা।
নানক বলেন, আমি এমন একটি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পরে নিজেকে গর্ববোধ করছি। দেশের নারী উদ্যোক্তরা অত্মপ্রত্যয়ী। আমি সকল নারী উদ্যোক্তাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
সংগঠনের সভাপতি শাহীন আক্তার সাথীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ সলু, নারী কাউন্সিলর রোকসানা আলমসহ নারী উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত