জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে সহযোগিতা করায় বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেছেন, পাঁচটি কমিশনের সুপারিশ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে স্প্রেডশিট দেওয়া হয়েছিল দলগুলোকে। বিএনপিও সহযোগিতা করেছে, তাদের প্রতি সন্তুষ্টি, কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
আলী রিয়াজ বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা, যাতে করে বাংলাদেশে একটি স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। আমরা বারবার দেখেছি—শুধু গণতন্ত্র হোচট খায়নি, বরং ব্যক্তিতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই বাস্তবতা আমাদের সবাইকে গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য করেছে।
গণতন্ত্রের জন্য বিএনপির লড়াইয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জানেন, বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কীভাবে নিপীড়িত হয়েছে, কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। আজকের আলোচনাও সেই লড়াইয়েরই একটি অংশ।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ হয়। ওই সংলাপ শেষে এ কথা বলেন আলী রীয়াজ।
স্থায়ী গণতন্ত্রের জন্য জাতীয় সনদ তৈরি করাই ঐকমত্য কমিশনের মূল লক্ষ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র যেন হোঁচট না খায় সেই ব্যবস্থা তৈরি করতে চায় কমিশন। বিএনপির পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে একমত হয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে, কিছু বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।
সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এ ছাড়া আরও ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও মনিরুজ্জামান খান।
বিডি প্রতিদিন/কেএ