আগেও প্রধান নির্বাচক ছিলেন ফারুক আহমেদ। তার আমলেই ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০০৭ সালে যখন দায়িত্ব ছাড়েন প্রধান নির্বাচকের, তখন একটা সুদৃঢ় অবস্থানে রেখে এসেছিলেন দলটাকে। এবার প্রায় সাত বছর পর দায়িত্ব নিয়েই বিপাকে পড়ে গেছেন ফারুক। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর যেন জয়ের কথা ভুলেই গেছে টাইগাররা। দায়িত্ব নিয়ে দুই-একটি পরিবর্তন হয়তো করেছেন দলে, স্কোয়াড কিন্তু অভিন্ন ক্রিকেটারদেরই দিয়েই সাজাচ্ছেন। তার আমলে শ্রীলঙ্কা সিরিজ, এশিয়া কাপ এবং টি-২০ বিশ্বকাপ, সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে ১৮টি। হার ১৫, ২ জয় এবং ড্র একটি। শ্রীলঙ্কা সিরিজে লড়াই করেছে। কিন্তু এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। বিশেষ করে আইসিসির ব্লক বাস্টার ইভেন্টটিতে মুশফিকদের পারফরম্যান্স তোপের মুখে। ক্রিকেট সমালোচকরা ভাবছেন, টাইগারদের সামর্থ্য এ টুকুই। টানা হারের ধাক্কা সামলাতে অনেকেই ক্রিকেটারদের বিশ্রামের কথা বলছেন। প্রধান নির্বাচক সবার সঙ্গে না হেঁটে শুধু জানিয়েছেন, বাজে পারফরম্যান্সের একটাই কারণ, হঠাৎ করেই ক্রিকেটাররা এখন অফ ফর্মে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথমটি ইনিংস ব্যবধানে হারলেও ড্র করেছিল চট্টগ্রামে। দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজ হেরেছিল শেষ বলে। আশা জাগিয়েও হোয়ইটওয়াশ হয়েছিল ওয়ানডে সিরিজে। সমালোচকদের তীর তখনো এতটা ধারালো হয়নি। কিন্তু এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হার, সমালোচকদের দাঁড়ালো তলোয়ার এফোর-ওফোর করে দিয়েছে মুশফিকদের। এরপর টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আফগানিস্তান ও নেপাল ম্যাচ জিতে পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে নিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু হংকংয়ের কাছে হারে বেসামাল হয়ে পড়েন। তখনই সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেন মাইকেল ভনদের মতো ক্রিকেটবিশ্লেষকরা। হংকং ম্যাচের ধাক্কা সামলানোর পথও জানা ছিল মুশফিকদের। কিন্তু চূড়ান্ত পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি। সবগুলো হার ছিল অসহায় আত্মসমর্পণ। এমন বাজে পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক বলেন, 'নিউজিল্যান্ড সিরিজের স্কোয়াডে খুব বেশি পরিবর্তন করিনি। দুই-একটা হয়তো হয়েছে। স্কোয়াডে পরিবর্তন আনায় আমি মনে করি না পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব পড়েছে। আমার মনে হচ্ছে দলের এক-দুইজন ক্রিকেটার ছাড়া সবাই অফ ফর্মে চলে গেছেন। যার ফলে কিছুই হচ্ছে না। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই কমে গেছে ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস।'