রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মধ্যে পতুর্গালের 'ব্লাক প্যান্থার'খ্যাত ফুটবলার ইউসেবিওর ছায়া দেখেছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে। বল পায়ে রোনালদোর গতি দেখে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের দুরন্ত ইউসেবিওকে আলাদা মনে হচ্ছে না ফুটবল সম্রাটের।
৬৬-র বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হলেও ৯ গোল করে সেরা ফুটবলার হয়েছিলেন পর্তুগালের তারকা। ইউসেবিওর দুরন্ত গতির কাছে পাত্তাই পেত প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। ৬৬-র বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে পর্তুগালের ম্যাচটি এখন বিশ্বকাপের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। কি অবিশ্বাস্যভাবেই না পর্তুগাল জয় এনে দিয়েছিলেন ব্লাক প্যান্থার।
নবাগত উত্তর কোরিয়া গ্রুপ পর্বে ইতালিকে হারিয়ে চিলির সঙ্গে ড্র করে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে। শেষ আটের লড়াইয়ে পর্তুগালের বিরুদ্ধে মাত্র ২৫ মিনিটেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। 'পুচকে' কোরিয়ার কাছে দ্রুত ৩ গোল হজম করায় চোখ থেকে ঝর ঝর করে পানি ঝরছিল ইউসেবিওর। শোককে শক্তিতে পরিণত করতে বেশি সময় নেননি তিনি। কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই বদলে যান ইউসেবিও। পর পর চার চারটি গোল করে ওই ম্যাচে পর্তুগিজদের উৎসবে মাতিয়ে ছিলেন। স্মরণীয় সেই ম্যাচে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ৫-৩ গোলে জয় পেয়েছিল পর্তুগাল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইউসেবিও নিজে চার গোল তো করেছেনই, শেষের গোলটিতেও বড় অবদান রেখেছিলেন। ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত টানা ১৪ বছর তিনি পর্তুগালের সেরা গোলদাতা হয়েছিলেন।