সালাউদ্দিন, শেখ আসলাম, আলফাজদের দেখানো পথে হাঁটছেন জাহিদ হাসান এমিলি। একের পর এক গোল করে হয়ে উঠেছেন দেশের ফুটবলের আস্থার প্রতীক। বাংলাদেশ ফুটবলের সাফল্য-ব্যর্থতা এখন পুরোপুরি নির্ভরশীল এই দেশসেরা স্ট্রাইকারের ওপর। এখন তিনি ব্যস্ত বঙ্গবন্ধু কাপ নিয়ে। বাংলাদেশ ফুটবল দল এই মাসেই অংশ নিবে বঙ্গবন্ধু কাপে। সেখানেও দলের সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ভর করছে এই স্ট্রাইকারের ওপর। দেশসেরা স্ট্রাইকার ঘরোয়া ফুটবলে এবার খেলবেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রে। দলটিতে এবারই প্রথম নন, ২০১২-১৩ মৌসুমেও খেলেছেন। সেবার দলটির তিন তিনটি শিরোপা জেতায় ভূমিকা রেখেছিলেন ২৪ গোল করে। এবারও দলকে উপহার দিতে চান মৌসুমের সবগুলো শিরোপা। মাঠ আলোকিত করতে চান একের পর এক গোল।
২০০২ সালে ব্রাদার্স ইউনিয়নের কমলা জার্সিতে অভিষেক পিরোজপুরের ছেলে এমিলির। গোপীবাগের দলটিতে চার মৌসুম খেলার ২০০৭ সালে আসেন দেশের স্বনামধন্য ক্লাব আবাহনীতে। আকাশী-হলুদ জার্সিতে ২৫ গোল করে চলে আসেন পাদপ্রদীপের আলোয়। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি। সামনে এগিয়েছেন তরতরিয়ে। দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলে জয় করে নেন ফুটবলপ্রেমীদের মন। দেশসেরা স্ট্রাইকার প্রথম জাতীয় দলে খেলেন সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানের বিপক্ষে। গোল করেন অভিষেক ম্যাচেই। জাতীয় দলের পক্ষে সর্বশেষ খেলেন জাপান অনূর্ধ্ব ২১ দলের বিপক্ষে। ৫৫ ম্যাচে এখন পর্যন্ত গোল করেছেন ১৩টি। দ্বিতীয়বারের মতো শেখ রাসেলে নাম লেখান এবার। নাম লিখে দলকে উপহার দিতে চান শিরোপা, 'আমরা এবার শিরোপা জেতার মতো দল গড়েছি। আমি শিরোপা জয়ে ভূমিকা রাখতে চাই। ২০১২-১৩ মৌসুমে যে রকম গোল করেছি, এবারও গোল করতে চাই সেই ধারায়।' দল নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শেখ রাসেলের সম্ভাব্য অধিনায়ক এমিলি, 'আমরা যে ২৯ ফুটবলারের রেজিস্ট্রেশন করেছি, তারা সবাই ভালো ফুটবলার। জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৭ ফুটবলার ছাড়াও সিফাতদের মতো আরও ৪-৫ জন ফুটবলার রয়েছেন, জাতীয় দলে খেলার সামর্থ্য রয়েছে যাদের। তাদের নিয়ে শক্তিশালী দলই গড়া হয়েছে। দুজন ভালোমানের বিদেশি ফুটবলার রয়েছে। আরও তিনজন ভালোমানের বিদেশি ফুটবলার আসলে দলটি ব্যালেন্সড হবে। একটি দলের সাফল্য নির্ভর করে বুঝাপড়ার ওপর। বিদেশিরা আসলে আমাদের দলটি আরও শক্তিশালী হবে। আমি মনে করি দলটির রিজার্ভ বেঞ্চও যথেষ্ট শক্তিশালী।'
তারকাখ্যাতিতে এই মুহূর্তে দেশের এক নম্বর ফুটবলার এমিলি। তার প্রতিদানও দিচ্ছেন গোল করে। ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান ছেড়ে পুরনো দলে ফিরে ফের মাততে চান উৎসবে। এখন শুধু অপেক্ষা।