এখন আর তাকে টাকার পেছনে ছুটতে হয় না। টাকাই তার পেছনে ছোটে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের আর্থিক সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ২৭৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৮ হাজার ২৫০ টাকা।
ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকট্র্যাকার সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সবচেয়ে উপার্জনকারী ক্রিকেটার হিসেবে উঠে এসেছে সাকিব আল হাসানের নাম।
এত কম সময়ে এত টাকা! অবাক হবার কিছু নেই। ক্রিকেট থেকে যেমন এসেছে অর্থ। তেমনি এসেছে বিজ্ঞাপন, কসমেটিকস, রেস্তোরাঁ ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টসহ বিভিন্ন খাত থেকে।
গত বছর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে বেতন হিসেবে প্রতি মাসে সাকিব আল হাসান পেয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার টাকা করে। এ বছর ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হচ্ছে তার বেতন। পারিশ্রমিক হিসেবে প্রতি ম্যাচে ফি পেয়েছেন লাখ টাকার ওপরে। এ ছাড়া দৈনিক ভাতা তো আছেই। এছাড়া নিয়মিত দেশ-বিদেশে বিভিন্ন লিগে খেলে যাচ্ছেন সাকিব।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করেছেন সাকিব। ২০১১ সালে আইপিএলে সাকিবকে ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারে কিনে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৬ সালেও কলকাতায় খেলবেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। সাকিবকে রেখে দেওয়ায় ২ কোটি ৮০ হাজার রুপি দিতে হচ্ছে কেকেআরকে। এ ছাড়া বাংলাদেশে বিপিএলেও সাকিবের আয় হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছিলেন সাকিব। সর্বশেষ আসরে রংপুর রাইডার্স থেকে পেয়েছেন ৩৫ লাখ টাকা।
আইপিএল ও বিপিএলের মতো পাকিস্তানের সুপার লিগেও সাকিব এগিয়ে। পিএসএলে প্লাটিনাম গ্রুপে সাকিব খেলবেন করাচি কিংসে। এ জন্য পাবেন ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিগ ব্যাশ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, শ্রীলঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ ও কাউন্টি ক্রিকেট থেকে হাজারো ডলার আয় করেছেন সাকিব। ২০০৯ সালে উইজডেন ম্যাগাজিনের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হন সাকিব। সে সময়ও বড় অঙ্কের অর্থ সাকিবের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ