নেপালকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২১১ রান সংগ্রহ করে নেপাল। জবাবে বাংলাদেশ ৪৮.২ ওভারে মিরাজ ও জাকিরের অর্ধশতকের ওপর ভর করে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
৬ উইকেটের বড় জয় পেলেও সহজেই বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠেছে তা কিন্তু নয়। দলীয় শতরান পূর্ণ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ যুবাদের ৪ উইকেট তুলে লড়াই জমিয়ে তুলেছিলেন নেপালের বোলাররা। সাজঘরে ফেরাদের তালিকায় আবার টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তও ছিলেন। এদিন ৬ বলে মাত্র ৮ রান করেন শান্ত। এরপর দলের হাল ধরেন জাকির হাসান ও দলনেতা মেহেদি হাসান মিরাজ। দু'জনের অবিচ্ছিন্ন ১১৭ রানের জুটিতে জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
৭৭ বলে এক ছক্কা আর ৫ চারে ৭৫ রানে হার না মানা ইনিংস খেলেন জাকির। অন্যদিকে, ৬৫ বলে ৩ চারের সাহায্যে ৫৫ রান করেন মিরাজ। এর আগে, পিনাক ঘোষ ও জয়রাজ শেখ যথাক্রমে ৩২ ও ৩৮ রান করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
নেপালের হয়ে সুনিল ধামালা ৩৩ রানে ২ উইকেট এবং সদ্বীপ লামিঞ্চানে ৪৬ রানে একটি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে, ফিল্ডিংয়ের শুরুতে ১৯ রান খরচ করেই ২ উইকেট তুলে নিয়ে দাপট দেখায় বাংলাদেশ। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে যেতে থাকেন রাজু রিজাল। হাফসেঞ্চুরির পরও বাংলাদেশের বোলারদের বেশ দাপট দেখিয়ে খেলে যেতে থাকেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। তবে জুনিয়র টাইগারদের ফিল্ডিং নৈপুণ্যে হার মানতেই হয় তাকে। তার ৮০ বলে ৭২ রানের ইনিংসটি থেমে যায় শান্ত ও জাকির হাসানের ফিল্ডিংয়ে। রান আউট হয়ে ফিরে যান রাজু। শেষ দিকে দিপেন্দ্র সিং আইরি ২২ রান, প্রেম তামাং ২২ রান এবং কৌশল ভুটেলের ১৪ রানে ২১১ রানের পুঁজি পায় নেপাল।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৩৮ রানে ২ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা, মেহেদী হাসান মিরাজ ও সালেহ আহমেদ শাওন।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব