রাজশাহীতে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী জাতীয় ব্যুত্থান প্রতিযোগিতা-২০১৬। শনিবার রাজশাহী বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের জিমনেসিয়ামে এই প্রতিযোগিতার সমাপ্তি ঘটে।
সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত বাংলা শব্দ ‘ব্যুত্থান’ অর্থ স্বতন্ত্রের সাথে প্রতিরোধ ও উন্নয়ন। দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীন মার্শাল আর্টের ঐতিহ্যের আলোকে সৃষ্টি করা আত্মরক্ষামূলক ক্রীড়া ও ব্যক্তিগত উন্নয়নের এক যুগান্তকারী পদ্ধতির নাম ‘ব্যুত্থান’। ইন্টরন্যাশনাল ব্যুত্থান ফেডারেশন, ইউএসএ’র অধীনে এই আত্মরক্ষামূলক ক্রীড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চর্চা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ- এ ২০১৩ সালে ‘ব্যুত্থান’ একটি ক্রীড়া হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়। বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই ব্যুত্থ্যান মার্শাল আর্টের এবারের জাতীয় প্রতিযোগিতায় ৩৩টি জেলার মোট ১৭১ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। পাঁচটি ওজন বিভাগে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এতে ৪৮ কেজি ওজন শ্রেণীতে রাজশাহীর শুভ প্রথম, রংপুরের হাইয়ুল দ্বিতীয় এবং নাটোরের হিমেল তৃতীয় হয়।
৫৮ কেজি ওজন শ্রেণীতে রাজশাহীর আদর প্রথম, সাতক্ষিরার জাহিদ দ্বিতীয় এবং সিলেটের প্রিন্স তৃতীয় হয়। ৬৮ কেজি ওজন শ্রেণীতে রাজশাহীর রাফিদ প্রথম, নাটোরের আলী দ্বিতীয় এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের আল সামস তৃতীয় হয়। ৭৮ কেজি ওজন শ্রেণীতে ঢাকার রায়হান প্রথম, রাজশাহীর ডাবলু দ্বিতীয় এবং রাজশাহীর আকাশ তৃতীয় হয়। মহিলা ওপনে ঢাকার রাজিয়া প্রথম রাজশাহীর সানজিদা দ্বিতীয় এবং পূর্ণতা তৃতীয় হয়। প্রতিযোগিতাটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ৮ জন আম্পায়ার, ৩ জন রেফারী এবং ১১ জন কর্মকর্তা।
ডিসকাভারী চ্যানেল প্রচারিত সুপার হিউম্যান, বিশ্ব রেকর্ডধারী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গ্রান্ডমাস্টার ড: ইউরী বজ্রমুনি দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট এর রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান প্রশিক্ষক একে কালাম লিটন, বাংলাদেশ ব্যুত্থান ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক সিনিয়র প্রশিক্ষক সোহেল মাহবুব, প্রশিক্ষক আব্দুল হামিদ, সলমন জুবায়েত গ্রীন, হারুনুর রশীদ, সাতক্ষিরা শাখার প্রশিক্ষক ঝুনু প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/০৩ জানুয়ারি, ২০১৬/হিমেল