সম্প্রতি জিপি হাউজে অনুষ্ঠিত জিপি অ্যাকসেলেরেটর-এর ডেমো ডে-তে শতাধিক বিনিয়োগকারী ও বিশেষজ্ঞদের সামনে তাদের ব্যবসায়িক ধারণার উপস্থাপন করলেন জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের পাঁচ স্টার্টআপ।
‘স্টার্টআপ বাজার’ নামক একটি ইন্ট্রোডাকটরি সেশনের মাধ্যমে ডেমো ডে শুরু হয়। এ সেশনের মাধ্যমে উপস্থিতবৃন্দ জিপি স্টার্টআপের শীর্ষ পাঁচটি দলের সাথে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন। এ সেশনের পরে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠি আনুষ্ঠানিকভাব ডেমো ডে র উদ্বোধন করেন।
এসময় বক্তব্যে রাজীব শেঠি বলেন, গ্রামীণফোন এর গ্রাহকদের ডিজিটাল লাইফস্টাইলে নতুন সেবা যোগ করতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, দেশের জন্য উপযুক্ত অ্যাপ্লিকেশন ও সেবা উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজিটাল যুগের সূচনা করতে এ ধরনের স্টার্টআপগুলোর মতো তরুণ উদ্যোক্তারা অংশীদার হওয়ার মাধ্যমে আমাদের সহায়তা করতে পারে।’
গত বছর অক্টোবরে, বাংলাদেশে প্রযুক্তি বিষয়ে পাঁচ তরুণ ও মেধাবী উদ্যোক্তা খুঁজে বের করতে এসডি এশিয়ার সাথে যৌথভাবে জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম শুরু করে গ্রামীণফোন। একটি কঠোর ও প্রতিযোগিতামূলক বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জিপি অ্যাকসেলেরেটর টিম শীর্ষ পাঁচ স্টার্টআপ নির্বাচন করে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম ব্যাচের স্টার্টআপগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে মেন্টরিং প্রোগ্রামে অংশ নেয়।
শীর্ষস্থানীয় কোনো প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে এটা ছিলো বাংলাদেশে স্টার্টআপদের জন্য প্রথমবারের মতো আয়োজিত মেন্টরিং প্রোগ্রাম। সম্পূর্ণ লজিস্টিক সহায়তাসহ শীর্ষ পাঁচ স্টার্টআপ (ইনোভেশন, সেবা, রেপ্টো, ক্যান্ডি ও শেয়ার) তাদের ব্যবসা শুরু করার জন্য ১০ লাখ টাকা ও জিপি হাউজের ভেতর কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়াও স্টার্ট আপ দলগুলো এসডি এশিয়ার স্টার্ট আপ বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে মেন্টর করানো হয়।
উল্লেখ্য, টেলিনর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন গ্রামীণফোন ৫৬ মিলিয়ন এরও অধিক গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান হিসাবে অগ্রণী ভুমিকা পালন করছে। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে গ্রামীণফোন যার মাধ্যমে দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ সেবা গ্রহণ করছে।
বিডি প্রতিদিন/১১ জুন ২০১৬/হিমেল-১২