শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫ আপডেট: ০০:৪৬, রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫

শিক্ষার সংস্কৃতি কেন গুরুত্বপূর্ণ

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
প্রিন্ট ভার্সন
শিক্ষার সংস্কৃতি কেন গুরুত্বপূর্ণ
সংস্কৃতি সতত পরিবর্তনশীল, যদিও এ পরিবর্তনটি খুব সহজে বা সর্বৈব দৃশ্যমান উপায়ে ঘটে না। সংস্কৃতির ভিতরের সময়টি খুব দীর্ঘ এবং সংস্কৃতির পরিবর্তনশীলতার পেছনে কার্যকর শিক্ষা...

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। আমাদের দেশে যে কোনো সংবাদপত্রের জন্য একটি বছর পার করাও এখন উদযাপনের মতো একটি বিষয়, এমনকি যেসব সংবাদপত্র অনলাইনে প্রকাশিত হয়, সেগুলোর জন্যও। সেখানে বাংলাদেশ প্রতিদিন ১৫ বছর বিরতিহীনভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। সংবাদপত্রটিকে এবং এর পরিবারের সবাইকে অভিনন্দন।

একটি সংবাদপত্র চালু রাখতে বিনিয়োগের দরকার। সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী ছাড়াও অনেকের অংশগ্রহণে একটি সংবাদপত্র গতি পায়। এর প্রকাশের পেছনে প্রত্যেকেরই একটি ভূমিকা থাকে। এবং মাস শেষে এরা যদি সম্মানজনক বেতন-ভাতা না পান, তাহলে সংবাদপত্রটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। হয়তো এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য ওই বিনিয়োগের প্রয়োজন। কিন্তু যিনি বিনিয়োগ করবেন, বাজারের সূত্র মেনে বিনিয়োগের অংকটি তাঁকে ফেরত পেতে হয়, অন্তত যাতে তিনি লোকসানে না পড়েন, সে ব্যবস্থাটি থাকতে হয়। সেজন্য সংবাদপত্রটির কাটতি থাকতে হয়, ভালো বিজ্ঞাপন পেতে হয়। এ দুই ক্ষেত্রেই হাতে গোনা কয়েকটি সংবাদপত্র ছাড়া অবস্থাটি প্রতিকূল। বাংলাদেশ প্রতিদিন কয়েকটি কারণে এ প্রতিকূলতা কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রথম কারণটি হচ্ছে, এর ভালো সাংবাদিকতা, দ্বিতীয়টি এর পাঠকপ্রিয়তা। আমি এ সংবাদপত্রটির একজন পাঠক, এর আর্থিক সঙ্গতি এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আমার কোনো ধারণা থাকার কথা নয়। তবে আমি অনুমান করতে পারি, এর সাংবাদিক এবং অন্য কর্মীরা নিষ্ঠার সঙ্গে এ সংবাদপত্রটির পথচলা নিশ্চিত করছেন। আমি আশা করব, আগামীতে এ পথচলা আরও গতিশীল হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমি মাঝেমধ্যে শিক্ষা নিয়ে লিখেছি। আমি দেখেছি শিক্ষাকে এবং শিক্ষার সংস্কৃতিকে- যা শিক্ষার্থীর মন আলোকিত করে, তার মনের দরজা-জানালাগুলো খুলে দেয় এ সংবাদপত্রটি গুরুত্ব সহকারে। আমাকে যখন এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমার পছন্দের একটি বিষয় নিয়ে লিখতে অনুরোধ করা হলো, আমি শিক্ষার সংস্কৃতি বিষয়টি বেছে নিলাম।

২. শিক্ষা বিষয়টা পরিশ্রমের, চর্চার। শিক্ষাদানে পরিশ্রম আছে, শিক্ষা গ্রহণেও আছে- এ পরিশ্রমের কায়িক অংশটি গুরুতর নয় ইটভাঙা অথবা লঞ্চঘাটে মাল টানা অনেক বেশি পরিশ্রমের। কিন্তু শিক্ষার শ্রম অংশটি আসে মেধা ও মননের অঞ্চল থেকে। অনেক পুরনো চিন্তা, মত, সংস্কার, অভ্যাস ও চর্চাকে বদলানোর মধ্যেই নিহিত শিক্ষার শ্রম। এ শ্রম দিতে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরাই শিক্ষার সংস্কৃতিকে গ্রহণ করতে পারেন। সংস্কৃতি কোনো জড় পদার্থ নয়; এটি একবারে অর্জন করা ও অপরিবর্তনশীল কোনো সামাজিক চর্চা নয়। সংস্কৃতি সতত পরিবর্তনশীল, যদিও এ পরিবর্তনটি খুব সহজে বা সর্বৈব দৃশ্যমান উপায়ে ঘটে না। সংস্কৃতির ভিতরের সময়টি খুব দীর্ঘ এবং সংস্কৃতির পরিবর্তনশীলতার পেছনে কার্যকর শিক্ষা। বিষয়টা একটু ঘুরিয়ে নিলে এরকম বলা যায় : সংস্কৃতির গতিশীলতার পেছনে আছে শিক্ষা, যেমন শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ করে সংস্কৃতি। এ দুইয়ের মধ্যে সম্পর্কটি খুবই ঘনিষ্ঠ।

কিন্তু শিক্ষা বলতে যদি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কথাই শুধু উল্লেখ করা হয়, তাহলে আমরা একটি বড় ভুল করব। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অবশ্যই

গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া জগতে আমরা অচল। জ্ঞান-বিজ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশের অধিকার এ শিক্ষাই আমাদের দেয়; কিন্তু কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই পূর্ণ হয় না, যদি তাতে যুক্ত না হয় সাংস্কৃতিক শিক্ষা। সাংস্কৃতিক শিক্ষা আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় দিতে পারে না, বরং এর বিরুদ্ধ শিক্ষাই তারা দেয় মাঝে মাঝে। সাংস্কৃতিক শিক্ষা দেয় পরিবার ও সমাজ- প্রধানত পরিবার। তবে এক্ষেত্রে মিডিয়ারও একটা ক্রমবর্ধমান ভূমিকা দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে আমাদের সংস্কৃতির মূল্যবোধগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক ভিনদেশি কোনো সংস্কৃতি এবং নানা অপসংস্কৃতির প্রচারের বিরুদ্ধে মিডিয়া কাজ করতে পারে। এ অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে পশ্চিমা দৃশ্যমাধ্যম, ইন্টারনেট প্রযুক্তি, টিকটক এবং এ ধরনের কিছু ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফরম। মিডিয়ার পক্ষে সম্ভব সমাজে এসবের বিপরীতে সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা ও প্রতিপালনের ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টি করা। পরিবার এবং সমাজ থেকে শিক্ষার সঙ্গে ভালোমন্দ বিচারের ক্ষমতা এবং নান্দনিকতার পাঠ না পেলে একজন শিক্ষার্থী কখনো সম্পূর্ণরূপে গড়ে উঠতে পারে না। তথাকথিত অশিক্ষিত মানুষও পরিবার থেকে সাংস্কৃতিক শিক্ষা পেলে তথাকথিত অনেক শিক্ষিত মানুষ থেকে বেশি শিক্ষিত হতে পারে। যেহেতু শিক্ষার সংস্কৃতিকে সে গ্রহণ করে অনেক সহজে।

সাংবাদিকসাংস্কৃতিক শিক্ষা এবং শিক্ষার সংস্কৃতির মধ্যে যোগসূত্রটি এই যে, উভয় ক্ষেত্রে মানুষ তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো প্রাধান্য পায়। এ উপাদানগুলোর মধ্যে যেগুলো অবশ্য প্রয়োজনীয়- অর্থাৎ যেগুলোর অভাবে শিক্ষা, শিক্ষা হয় না, তা হচ্ছে মূল্যবোধ, রুচি এবং হৃদয়ের প্রসারতা। আমরা প্রতিদিনের দিনযাপনে সংকীর্ণতাটাই বেশি দেখি- প্রসারতা, গভীরতা দেখি না। স্বার্থপরতা, অহমিকা হচ্ছে এ সংকীর্ণতা; আর একটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, সহনশীল এবং প্রজ্ঞাবান দৃষ্টি, নিজের বাইরে অন্যের দিকে, সমাজের দিকে মনোযোগী হওয়া হচ্ছে প্রসারতার লক্ষণ। শিক্ষার উদ্দেশ্য মুখস্থবিদ্যা পারদর্শী কিছু তোতাপাখি সৃষ্টি নয়; বরং যুক্তিতর্ক ও বিচার বোধসম্পন্ন মনন সৃষ্টি করা। বলা হয়ে থাকে- পশ্চিমে আধুনিক যুগ শুরু হয়েছে পঞ্চদশ শতাব্দীর রেনেসাঁস-এর সময় থেকে এবং এর পরিপূর্ণতা এসেছে অষ্টাদশ শতকের এনলাইটেনমেন্ট বা জ্ঞানালোক প্রাপ্তিকালে। এ সময়ে মানুষ নিজের মধ্যে বিশ্বকে অবলোকন করেছে, প্রশ্ন করেছে, সংস্কার ও অন্ধ প্রচলকে ভেঙেছে। বস্তুত যে মানুষ প্রশ্ন করতে জানে না, যুক্তি-বিচার ছাড়া অন্ধভাবে সবকিছু গ্রহণ করে, আবেগটাকেই সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে দেখে, সে আধুনিক মানুষ নয়। শিক্ষার সংস্কৃতি হচ্ছে এ আধুনিক মনস্কতাকে গ্রহণ করা। শিক্ষার সংস্কৃতি হচ্ছে ভালো-মন্দ, শুভ-অশুভের বিশ্লেষণ ও পার্থক্য করতে শেখা এবং নান্দনিক দৃষ্টির অধিকারী হওয়া। এ সংস্কৃতি আমাদের শিক্ষায় অনেকটা ঠোঁট সেবার মতো দেওয়া হয় বটে; কিন্তু প্রকৃত পাঠটি গ্রহণ করা এবং পাঠ গ্রহণের মাধ্যমে হৃদয়ে তা ধারণ করা ব্যাপক ব্যাপার। আমাদের দেশে দুর্নীতিচিত্র নিয়ে অনেক প্রতিবেদন বেরিয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও গবেষণা সংস্থার প্রকাশনায়। একটি চাঞ্চল্যকর যদিও সবার জানা সত্য বেরিয়ে এসেছে কোনো কোনো প্রতিবেদনে : দুর্নীতির প্রায় নব্বই ভাগের জন্য দায়ী তথাকথিত শিক্ষিত মানুষরা। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত অবস্থা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, ঘুষ নেওয়া যে খারাপ কাজ, কাজে ফাঁকি দেওয়া যে দুর্নীতি, সে বিষয়টি নিয়েও এখন কেউ প্রশ্ন তোলে না। মানুষের সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করা, খারাপ আচরণ করা, মানুষকে অকারণে বিপদে ফেলা, এসব অনৈতিকতাকেও আমরা সয়ে নিয়েছি। এ জন্য সকালে সংবাদপত্রে ভয়ানক সব অন্যায়-অবিচারের খবর পড়েও আমরা নিশ্চিত ও প্রফুল্ল মনে অফিসে যাই, স্কুল-আদালতে যাই। আমরা শিক্ষা পেয়েছি, পেয়ে যাচ্ছি, কিন্তু শিক্ষার সংস্কৃতি রয়ে গেছে আমাদের নাগালের বাইরে।

শিক্ষার সংস্কৃতিই সভ্যতাকে নির্মাণ করে এবং ভিত্তিটি গেঁথে এর দরদালান তুলে দেয়। শিক্ষা মানুষের মধ্যে সৌন্দর্যবোধ সৃষ্টি করতে পারে না, যদি না এজন্য একটি আবহ তৈরি থাকে। এটি করে সমাজ, জনগোষ্ঠী। সমাজ তার দীর্ঘদিনের চর্চায় এবং একটি গ্রহণ ও বর্জন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সৌন্দর্যের উপাদানগুলো ছেঁকে আনে। একটি জাতি যদি শিক্ষার সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেয়, দেখা যাবে সেই জাতির সব কাজেই সৌন্দর্য রয়েছে। সে জাতির দৈনন্দিন জীবনাচরণে, আহার গ্রহণে, ঘর সাজানোতে, শহর পরিকল্পনায়, শিশুদের লালন-পালনে অর্থাৎ সর্ব ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটে। আমাদের ক্ষেত্রে ঘটে এর বিপরীত। আমরা কি জোর দিয়ে বলতে পারব, সেই সৌন্দর্য আমাদের মধ্যে আছে? যে মানুষ জঙ্গলের গাছ কেটে চোরাই বাজারে পাঠায়, যে অকাতরে বৃক্ষনিধন করে, পাহাড় কাটে, জলাভূমি ভরাট করে জবরদখল করে, সে কি শিশুদের এমনকি তার নিজের সন্তানদের ভালোবাসে? নাকি সে ভালোবাসে কেবল নিজেকেই এবং তার স্বার্থকে? সে বুঝতে পারে না এ অনাদরে কী সর্বনাশ করছে প্রকৃতির, সভ্যতার। সেটি যখন সে বুঝতে পারে তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।

একইভাবে যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ বেছে নেয় সমস্যা সমাধানের জন্য, যুক্তিতর্ককে আমলে আনে না তারাও সমাজ, প্রকৃতি এবং সভ্যতার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। দুঃখজনক সত্য হচ্ছে, এর সংখ্যা বাড়ছে এবং এদের নিয়েই থাকতে হচ্ছে আমাদের। এদের কেউ কেউ শিক্ষা পেয়েছে; কিন্তু শিক্ষার সংস্কৃতি এদের নাগালের বাইরে রয়ে গেছে।

অন্য দুঃখজনক সত্য হচ্ছে এই, আমাদের মুখস্থবিদ্যানির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কৃতি পুরোপুরি অবহেলিত। বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতিটা আমার একেবারেই মনোপুত নয়। এ ব্যবস্থায় ছাত্রছাত্রীর সৃজনশীলতা মোটেই উৎসাহিত হয় না। হয় শুধু মুখস্থ করার মনোবৃত্তি। অন্যের লেখা জিনিস মুখস্থ করে প্রথম-দ্বিতীয় হওয়ায় কী গৌরব? আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতিতে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতাটাই মুখ্য, অথচ আদর্শ হওয়া উচিত নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতা। নিজের ষোল আনা মেধা ও মনীষাকে কাজে লাগানোর প্রতিযোগিতা। পাঁচজন প্রাইভেট টিউটর রেখে আঠারো ঘণ্টা পাঠ মুখস্থ করে ফার্স্ট হওয়ায় কোনো বড় কৃতিত্ব নেই, যতটা আছে নিজের সৃজনশীল ক্ষমতাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে প্রকৃত জ্ঞান লাভ করায়। যারা নিজেদের মেধার চর্চা করে, পাঠ্যবইয়ের অতিরিক্ত বই পাঠে সময় ব্যয় করে, লেখালেখির চেষ্টা করে, সমাজের মানুষের কথা ভাবে, যাদের আচরণে গরিব মানুষ ব্যথা পায় না, সন্তুষ্ট হয় বরং; যারা নিজেদের স্বার্থকে প্রধান করে না, যাদের মধ্যে সৌন্দর্যবোধ প্রবল তারা প্রত্যেকে নিজস্ব পথে শিক্ষার সংস্কৃতিকে গ্রহণ করেছে অথবা গ্রহণ করার চেষ্টা করছে। একজন সত্যিকার শিক্ষার্থী- যে শিক্ষা এবং শিক্ষার সংস্কৃতি, উভয়ই গ্রহণ করে- জগৎটাকে একটা খোলা বইয়ের মতো পড়তে পারে। কারণ জগৎটা বিশাল, অবারিত। দৃষ্টিস্বল্পতা বা মাইয়োপিয়া আক্রান্ত মানুষ সেই জগৎকে পড়তে পারবে না। যাদের দৃষ্টি প্রসারিত, তাদের মনটা সংকীর্ণ নয়। শিক্ষার সংস্কৃতি, আমি আগেই বলেছি, দৃষ্টি ও মননের প্রসারতা ঘটায়।

আমাদের দেশে এক সময় স্কুল-কলেজগুলো যথেষ্ট স্বাবলম্বী ছিল। স্বাবলম্বী এ অর্থে যে, স্কুলের পড়াশোনা ও অন্যান্য অ্যাকাডেমিক চর্চাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে স্কুল সময়ের ভিতরেই ছাত্রছাত্রীদের তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতো এবং শিক্ষকদের তা দেওয়ার যোগ্যতা ছিল। সম্পদ এখনকার তুলনায় অনেক বেশি সীমিত ছিল; কিন্তু শিক্ষাদানে নিষ্ঠার কোনো কমতি ছিল না। শিক্ষকরা এখনকার শিক্ষকদের তুলনায় অনেক অসচ্ছল ছিলেন, কিন্তু গৃহশিক্ষকতার প্রচলন প্রায় ছিল না-ই বলা যায়। অনেক গ্রামের স্কুলের ছেলেমেয়েরা ম্যাট্রিকে খুব ভালো ফল করত; তবে সাধারণ ছাত্ররা যে জ্ঞান পেত, তার মান অনেক উন্নত ছিল। এখন অনেক স্কুল অভিভাবকদের থেকে ডোনেশন নিয়ে তহবিল বাড়ায়; কিন্তু জ্ঞান উৎপাদনে তাদের ভূমিকা যথেষ্ট নয়। বাংলা এবং ইংরেজি শিক্ষাদানে আগের মান আর নেই অথচ শিক্ষা ব্যবস্থার ক্রমবিকাশে মান আরও বাড়ার কথা ছিল। আমার একটা কথা সব সময় মনে হয়, আমরা শিক্ষার পরিমাণগত বৃদ্ধি যতখানি অর্জন করেছি, মানগত উন্নতি ততটুকু করতে পারিনি। বরং দেখা যাচ্ছে পরিমাণ যত বাড়ছে, মান তত কমে যাচ্ছে। এর একটি কারণ শিক্ষাকে জাতীয় অগ্রাধিকারের তালিকায় প্রথম স্থানটি না দেওয়া।

শিক্ষায় বিনিয়োগ করলে কী উপকার হয়, তা বোঝার জন্য শ্রীলঙ্কা, কিউবা এবং ভারতের কেরালা রাজ্যের দিকে তাকালেই যথেষ্ট। এ দুই দেশ ও কেরালা রাজ্যে শিক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্র। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো শিক্ষায় বিশাল বিনিয়োগ করছে। আরব আমিরাতে অথবা কাতারে বিজ্ঞান প্রযুক্তির এমন সব বিষয় পড়ানো হয়, সেগুলো নিয়ে গবেষণা হয়, বৈশ্বিক সেমিনার হয়, যা আমরা ভাবতেও পারব না। আমাদের সম্পদ সীমিত অবশ্যই, কিন্তু দেশ থেকে যখন হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়, তখন তো সম্পদ সীমিত- এ কথাটি ধোপে টেকে না। বিনিয়োগের অভাবে আমাদের স্কুলগুলোতে ক্লাসরুম নেই, বেঞ্চ নেই, ব্ল্যাক বা হোয়াইট বোর্ড নেই। গবেষণাগার নেই। সবচেয়ে বড় কথা লাইব্রেরি নেই। এ শিক্ষা পনেরো-কুড়ি বছরেও একটি শিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারবে না।

সংস্কৃতি বলতে আমরা হরফ সংস্কৃতি এবং সহজাত সংস্কৃতি অর্থাৎ যা মানুষের আচার-আচরণ, কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক ও ব্যক্তিক সম্পর্কসমূহে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই প্রতিফলিত হয়- উভয়কেই গণ্য করি। হরফ সংস্কৃতি অর্থাৎ শিক্ষা থেকে যা আহরিত তার একটা সুবিধা আছে- বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চিন্তা-চেতনা ও চর্চাগুলো শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের জানা হয়ে যায়। তবে শিক্ষিত মানুষের সংস্কৃতি নিয়েই শুধু ব্যস্ত হয়ে পড়লে চলবে না। একই সঙ্গে গ্রামের শিক্ষাবঞ্চিত মানুষের সহজাত সংস্কৃতিকেও আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে এবং সস্থানে পুনরাধিষ্ঠিত করতে হবে। এ সংস্কৃতিই আমাদের সংস্কৃতির আদি এবং সমৃদ্ধ একটি রূপ। আমাদের সময় উভয় ক্ষেত্রেই একটা দৈন্য অথবা সংকট লক্ষ করা যায়। শিক্ষিত মানুষের আচরণ থেকে এখন বোঝা মুশকিল অনেক সময় সেখানে সংস্কৃতির কোনো স্থান আছে কিনা। আবার লোকজ সংস্কৃতিতেও শিক্ষিত শহুরে সংস্কৃতির প্রভাবে একটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আমার মনে হয়, সারা দেশে শিক্ষা- বিশেষ করে জ্ঞান-বিজ্ঞাননির্ভর, যুক্তিনিষ্ঠ, সংস্কৃতিভিত্তিক শিক্ষার প্রচার করা সম্ভব হলে এ সংকট কেটে যাবে। উন্নত সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং কৃষ্টিকে লালন করে তার থেকে প্রতিনিয়ত গ্রহণ করে। তবে সেরকম শিক্ষার প্রচারের জন্য জাতীয় ঐকমত্য, জাতীয় প্রচেষ্টা এবং অঙ্গীকার থাকতে হবে। আশা করি, অচিরেই তা দেখতে পাব।

লেখক :  শিক্ষাবিদ ও ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর
জুলাই অভ্যুত্থানের অনুদ্‌ঘাটিত চিত্র
জুলাই অভ্যুত্থানের অনুদ্‌ঘাটিত চিত্র
সাহিত্য ও সাংবাদিকতার আন্তসম্পর্ক
সাহিত্য ও সাংবাদিকতার আন্তসম্পর্ক
সংবাদমাধ্যম টিকিয়ে রাখতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে
সংবাদমাধ্যম টিকিয়ে রাখতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে
মানব জাতির টিকে থাকার ইশতেহার
মানব জাতির টিকে থাকার ইশতেহার
আইনের ফাঁকফোকর
আইনের ফাঁকফোকর
আওয়ামী ফ্যাসিজমের কবলে আমি
আওয়ামী ফ্যাসিজমের কবলে আমি
সবাই নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায়
সবাই নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায়
সর্বশেষ খবর
একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে

১৮ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা
রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়
বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা
ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)
হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৮ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার
নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’
‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার
মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি
কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’
‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

১৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...
প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

মেহজাবীনের চাওয়া
মেহজাবীনের চাওয়া

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

স্বাধীনতা কাপ ভলিবল
স্বাধীনতা কাপ ভলিবল

মাঠে ময়দানে

ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ

শোবিজ

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে