বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবলের পঞ্চম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে লাওসের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। গ্যালারি ভর্তি দর্শকের তুমুল হর্ষধ্বনির মাঝেও রোমাঞ্চকর এক জয় তুলে তুলে নিয়েছে জেমি ডের দল।
লাওসের ডিফেন্ডারের বিপদমুক্ত করতে শট নিলে বল জীবনের পায়ে লেগে চলে যায় ডান দিকে থাকা বিপলুর কাছে; এই মিডফিল্ডারের শট গোলকিপারে পায়ে লেগে কাছের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ালে উৎসবে নেচে ওঠে গ্যালারি। ম্যাচ শেষ হলেও দর্শকদের বিজয়ল্লোস যেত থামছে না। সিলেট জেলা স্টেডিয়াম ও এর আশপাশ এলাকা বাংলাদেশ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
অথচ বিকাল সাড়ে ৫টায় স্টেডিয়াম দর্শকশূন্য ছিল। স্টেডিয়ামে উত্তরপাশের গ্যালারির একাংশে তখন কয়েকশ দর্শক এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। দর্শক নেই! বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাব্যক্তিদের চোখেমুখে তখন কিছুটা শঙ্কা। তবে কী এবার আগের মতো দর্শকজোয়ার দেখবে না সিলেটের মাঠ!
তাদের এই শঙ্কা খুব দীর্ঘ হয়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ম্যাচ শুরুর আগেই ভরে ওঠে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি। প্রায় ১৫-১৬ হাজার দর্শকের গগণবিদারি চিৎকার সিলেটের ফুটবলপ্রেমকেই যেন উদ্ভাসিত করে তুলে।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষিক্ত হয়েছিল সিলেট জেলা স্টেডিয়াম। সেদিন অবাক বিস্ময়ে সিলেটের ফুটবলপ্রেম দেখেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ শুরুর অনেক আগেই দর্শকের চাপে স্টেডিয়ামের গ্যালারির নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে গিয়েছিল। মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন হাজার কয়েক দর্শক। ওই ফুটবল উন্মাদনার পর সিলেটে নিয়মিতই আন্তর্জাতিক ফুটবলের দেখা মিলছে।
এবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্বের সবকয়টি ম্যাচ হচ্ছে সিলেটে। এসব ম্যাচকে ঘিরেও সিলেটের ফুটবলপ্রেমীদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতোই।
ম্যাচে বাংলাদেশ যখন একের পর এক আক্রমণ করছিল প্রতিপক্ষের ডি বক্সে, তখন দর্শকের উচ্ছ্বাসে কেঁপে ওঠছিল সিলেটের আকাশ। বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা যখন প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকিয়ে দিচ্ছিলেন, তখনও হর্ষধ্বনিতে অভিনন্দিত করছিলেন দর্শকরা।
বিডি প্রতিদিন/ ০১ অক্টোবর ২০১৮/আরাফাত