ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল (ইসরায়েল ব্যতীত)' প্রত্যাহার না করতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (আসাদুজ্জামান খান কামাল) অনুরোধ করেছিলাম। তখন সেটা সম্ভব হয়নি। তবে এখন তা যুক্ত হওয়ায় বিষয়টি আমদের গৌরবান্বিত করেছে।’
সম্প্রতি বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত এই মন্তব্য করেন।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘১৯৭২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পাসপোর্টে এটা (এক্সসেপ্ট ইসরায়েল) লেখা ছিল। তবে ২০২২ সালে বাংলাদেশ সরকার এই বাক্যটি পাসপোর্ট থেকে প্রত্যাহার করে। আমার শক্তিতে যতটুকু কুলায়, তখন আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছিলাম, যেন সরকার ওই সিদ্ধান্তটা বাতিল করে। তবে সেটা সম্ভব হয়নি।'
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করার বিষয়ে তিনি বলেছেন, ১৯৭২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পাসপোর্টে এটা (এক্সসেপ্ট ইসরায়েল) লেখা ছিল। তবে ২০২২ সালে বাংলাদেশ সরকার এই বাক্যটি পাসপোর্ট থেকে প্রত্যাহার করে। আমার শক্তিতে যতটুকু কুলায়, তখন আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছিলাম, যেন সরকার ওই সিদ্ধান্তটা বাতিল করে। তবে সেটা সম্ভব হয়নি। আমার মনে আছে, সে সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (আসাদুজ্জামান খান কামাল) সঙ্গে আমার একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে আমি খুব স্পষ্ট করে বলেছিলাম—যখন আমাদের ফিলিস্তিনিদের রক্ত ঝরছে, শিশুদের রক্ত ঝরছে, গাজা উপত্যকায় এখনো আমরা অধিকার হারা আর এই মুহূর্তে এটা করা হলে ইসরায়েলকে একটি উপহার দেওয়া হবে। তবে তার (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর) উত্তর ছিল—আমরা ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব, (পাসপোর্ট) আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমি স্পষ্ট বলেছিলাম, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে চূড়ান্তভাবে আমরা সব দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি। আমরা চেষ্টা করি, কখনো সফল হই, কখনো হই না।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘তবে এখন যেটা আবার হয়েছে, এটা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি অবিচল সমর্থন ও সংহতি ঘোষণা। গত সপ্তাহে ঢাকায় প্রায় ২০ লাখ লোক সমাবেশ করে সংহতি জানিয়েছেন। আর পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যুক্ত হয়েছে। এই দুই ঘটনা আমাদের গৌরাবান্বিত করেছে।’
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল