বাংলাদেশে প্রস্তাবিত চীনের ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি জানিয়েছে জেলার নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের পৌর শহীদ মিনার চত্বরে এক সংহতি সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
‘গাইবান্ধার সাধারণ ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে আয়োজিত এ সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
সভায় বক্তারা বলেন, উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে অবহেলিত জনপদের নাম গাইবান্ধা। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও গাইবান্ধাবাসী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জেলার ২৬ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য রয়েছে একমাত্র জেনারেল হাসপাতাল। সেটিও এখনও স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। তিস্তাসহ নদীবেষ্টিত ১৬৫টি চর ও দ্বীপচরের মানুষসহ জেলাবাসীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে হয় প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরের বগুড়া কিংবা রংপুর হাসপাতালে।
গাইবান্ধায় ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের যথেষ্ট জায়গা রয়েছে জানিয়ে বক্তারা বলেন, তিস্তাপাড়ে কিংবা ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক সংলগ্ন হাসপাতাল করার মতো জেলায় যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। এতে করে শুধু গাইবান্ধাবাসীই নয়, পার্শ্ববর্তী রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারীসহ উত্তরের জেলাগুলোর মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।
বক্তারা হাসপাতালটি গাইবান্ধায় নির্মাণের জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি পরে জানানো হবে বলেও জানান তারা।
সংহতি সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ, সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুজ্জামান। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুল, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ সরকার ও সহকারী সম্পাদক ফয়সাল কবির রানা, চিকিৎসক নেতা ফেরদৌস হোসেন মঞ্জু, ডা. শামসুজ্জোহা সাজু, ডা. আসাদুজ্জামান সাজু, ব্যবসায়ী নেতা মকছুদার রহমান শাহান, সাংস্কৃতিক সংগঠক আলমগীর কবির বাদল, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি অমিতাভ দাশ হিমুন, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি ফেরদৌস ইসলাম রুম্মন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার জাকারিয়া আলম জিম প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ছাত্র-জনতার পক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির (এনসিপি) সদস্য ফিহাদুর রহমান দিবস।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল